
বর্তমান সমাজে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস দিতে পারে দু’চাকার মোটরসাইকেল। এই মোটরসাইকেলের জনপ্রিয়তা বহু বছর ধরেই চলে আসছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেকেই যে কোনো জায়গায় যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেলের উপরে ভরসা করেন।
বিশেষ করে এই মাহামারি পরিস্থিতিতে মোটরসাইকেলের প্রাসঙ্গিকতা বেড়েছে। অনেকের মোটরসাইকেলের মাইলেজ নিয়ে অভিযোগ থাকে। আবার অনেকের দাবি এক লিটার পেট্রোলে ৪০ কিলোমিটার পথও অতিক্রম করতে পারে না।
তাই জেনে নেয়া যাক মোটরসাইকেলে ভালো মাইলেজ পেতে যা করবেন।
মাইলেজ বৃদ্ধির জন্য যা করবেন
১. একই গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর চেষ্টা করুন। রাস্তায় চলতে গেলে তো গতি কম-বেশি করতেই হয়। কিন্তু যখন খালি রাস্তায় একাধারে চালিয়ে যাচ্ছেন, তখন একই গতিতে চালানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
২. দুই চাকায় বাতাসের চাপ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন। এগুলো ব্যবহারবিধিতে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী টায়ারের প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করুন।
৩. চেইনের টান সঠিক ও ঠিকঠাক রাখুন। অর্থাৎ, বেশি ঢিলেঢালা বা টাইট রাখা যাবে না।
৪. ইঞ্জিনকে স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে হবে। নিয়মিত বিরতিতে সার্ভিসিং করতে হবে।
মাইলেজ বৃদ্ধির জন্য যা করা থেকে বিরত থাকতে হবে
১. বাইক চালানোর সময় অযথা ক্লাচ লিভারে চাপ ফেলবেন না।
২. কম গিয়ারে দীর্ঘ সময় ধরে ইঞ্জিনকে সচল রাখবেন না।
৩. সরাসরি সূর্যালোকের নিচে মোটরসাইকেলটাকে পার্ক করে রাখবেন না। এতে পেট্রল বাষ্পীভূত হতে থাকে।
৪. চলমান অবস্থায় ব্রেক প্যাডেলে পায়ের চাপ বজায় রাখবেন না।
৫. ট্রাফিক বেশি অবস্থায় ইঞ্জিনের আরপিএম বৃদ্ধি করবেন না। তিরিশ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিন।
৬. এয়ার ফিল্টারের খোলা মুখগুলোকে কখনো ঢেকে দেবেন না।
৭. ইঞ্জিনের সামনে ও দুই পাশ কিছু দিয়ে ঢেকে দেবেন না। এতে করে ইঞ্জিনের পাখনাগুলোতে স্থিতিশীল বায়ুপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। এতে এয়ার কুলিং সিস্টেম ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং গরম হয়ে যাবে।