
তিনি একাধারে কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, শিক্ষক। হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে তাঁর মাতামহের বাড়িতে। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম। তাঁর পিতা ফয়জুর রহমান আহমেদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন (বর্তমানে আয়েশা ফয়েজ নামে পরিচিত)। ফয়জুর রহমান আহমেদ পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং কর্তব্যরত অবস্থায় পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হন।
বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত।
বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতিকে হুমায়ুন আহমেদ উপহার দিয়েছেন তাঁর অসামান্য বই, নাটক এবং চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বদৌলতে মানুষকে করেছেন হলমুখী, তৈরি করে গেছেন বিশাল পাঠকশ্রেণীও। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ দেখতে দর্শকের ঢল নামে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ঘেটুপুত্র কমলা প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুধীজনের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্য কীর্তি হিসেবে আছে তাঁর নাটকগুলো। এইসব দিনরাত্র, বহুব্রীহি, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়ো আজও নিন্দিত দর্শকমনে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের জনক তিনি। রচনা করেছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো সব মাস্টারপিস। শিশুতোষ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ এর পাঠক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমগ্র পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিতও হয়েছে।
সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূধন দত্ত পুরস্কার (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকসহ নানা সম্মাননা। হুমায়ূন আহমেদ এর বই, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য রচনা দেশের বাইরেও মূল্যায়িত হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে পীরবংশে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে তিনি ২০১২ সালে ইহলোক ত্যাগ করেন। এরপর গাজীপুরে তাঁর প্রিয় নুহাশ-পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র || Humayun Ahmed Uponnash Somogro
সূচিপত্র :
- অচিনপুর
- অমানুষ
- অরণ্য
- আয়নাঘর
- বোতল ভূত
- বাসর
- বহুব্রীহি
- বৃষ্টি বিলাস
- মে ফ্লাওয়ার
- জনম জনম
- নবনী
- নির্বাসন
- নীল মানুষ
- মৃন্ময়ী
- সাজঘর
- পোকা
- ছেলেটা
- সবাই গেছে বনে
- আমাদের শাদা বাড়ি
- মেঘের ওপর বাড়ি
- তিথির নীল তোয়ালে
- মীরার গ্রামের বাড়ী
- বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল
- আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি
- রাবণের দেশে আমি এবং আমরা
- নুহাশ এবং আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ
- ভয়ংকর ভুতুড়ে
- ম্যাজিক মুনশি
- কালো যাদুকর
- নক্ষত্রের রাত
সায়েন্স ফিকশন
- অঁহক
- অনন্ত নক্ষত্রবীথি
- আয়না
- ইমা
- ইরিনা
- ওমেগা পয়েন্ট
- কুদ্দুসের একদিন
- কুহক
- জাদুকর
- তারা তিন জন
- তাহারা
- তোমাদের জন্য ভালোবাসা
- দ্বিতীয় মানব
- নি
- নিউটনের ভুল সূত্ৰ
- পরেশের হইলদা বড়ি
- ফিহা সমীকরণ
- মানবী
- যন্ত্র
- শূন্য
- সম্পর্ক
হিমু সমগ্র
- আঙুল কাটা জগলু
- আজ হিমুর বিয়ে
- একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁঝিঁ পোকা
- এবং হিমু
- চলে যায় বসন্তের দিন
- দরজার ওপাশে
- পারাপার
- ময়ূরাক্ষী
- হিমু
- হিমু মামা
- হিমুর বাবার কথামালা
- হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী
- হিমুর আছে জল
- হিমুর দ্বিতীয় প্রহর
- হিমুর নীল জোছনা
- হিমুর মধ্যদুপুর
- হিমুর রূপালী রাত্রি
- হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম
- হলুদ হিমু কালো র্যাব
মিসির আলি সমগ্র
- দেবী
- তন্দ্রাবিলাস
- নিষাদ
- নিশীথিনী
- বিপদ
- ভয়
- পুফি
- বৃহন্নলা
- আমি এবং আমরা
- আমিই মিসির আলি
- কহেন কবি কালিদাস
- যখন নামিবে আঁধার
- হরতন ইশকাপন
- মিসির আলির চশমা
- মিসির আলি UNSOLVED
- মিসির আলির অমীমাংসিত রহস্য
- মিসির আলি ও অন্যান্য