শিক্ষণীয় গল্প: একটি ঘরে চারটি মোমবাতি

শিক্ষণীয় গল্প: একটি ঘরে চারটি মোমবাতি

একটা রুমের ভেতর চারটি মোমবাতি জ্বলছিলো।

মোমবাতি গুলো একে অপরের সাথে নিজস্ব ভাষায় কথা বলা শুরু করলো প্রথম মোমবাতি টি বললো, ‘আমি শান্তি। কেউ আমাকে জ্বালিয়ে রাখতে পারবে না বেশিক্ষণ। আমি হুট করে নিভে যাই।

তার কিছুক্ষণ পর সেটি হুট করে নিভে গেলো।

দ্বিতীয় মোমবাতি টি বললো, ‘আমি বিশ্বাস। শান্তি যেহেতু নেই, তাই আমার জ্বলতে থাকার কোন প্রয়োজন দেখছিনা। আমি এখন নিভে যাবো। কথা শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় মোমবাতি টি নিভে গেলো।

তৃতীয় মোমবাতি টি এবার মুখ খুললো, ‘ আমি ভালোবাসা। “শান্তি এবং বিশ্বাস যেহেতু কেউ নেই, তাই আমিও বেশিক্ষণ টিকতে পারবো না।

মানুষেরা আমাকে গুরুত্ব না দিয়ে একপাশে সরিয়ে রাখে। শুধু তাই না, ওরা প্রিয় মানুষগুলোকে পর্যন্ত ভুলে যায়। ” কথা শেষ করে তৃতীয় মোমবাতি টিও নিভে গেলো।

কিছুক্ষণ পর ঘরের ভেতর একটা শিশু প্রবেশ করলো, তিনটি মোমবাতির পাশে টিমটিম করে জ্বলতে থাকা চতুর্থ মোমবাতি দেখে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো, তোমরা সবাই জ্বলছো না কেনো? তোমাদের পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত জ্বলা উচিত ছিলো। দেখো চারপাশটা কেমন অন্ধকার, আমার ভয় করছে। তারপর শিশুটি ভয় পেয়ে তাকিয়ে কাঁদতে শুরু করলো।

এবার চার নম্বর মোমবাতি টি মুখ খুললো। ‘ ভয় পেয়ো না। আমি যতক্ষণ জ্বলছি, তুমি চাইলেই আমাকে দিয়ে আবার বাকি মোমবাতি গুলোকে জ্বালাতে পারো। আমার নাম আশা। ‘ শিশুটি আশা নামের মোমবাতি টি দিয়ে একে একে বাকি মোমবাতি গুলোকে আবার জ্বালালো। সমস্ত ঘরটা আবার উজ্জ্বল আলোতে আলোকিত হয়ে উঠলো।

গল্পটি রূপক।

শিক্ষা:
হাজারো হতাশা, দুঃখ আর সমস্যার অন্ধকারে ডুবে গিয়ে আশা নামের আলো টিকে কখনোই নিভতে দেওয়া উচিত নয় কারণ আশা না থাকলে আমাদের জীবন থেকে শান্তি, বিশ্বাস, ভালোবাসা অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।

Facebook Comment

You May Also Like

About the Author: eBooks

Read your favourite literature free forever on our blogging platform.