সেফটি পিনের আঘাতে ফাঁসির আসামীর মৃত্যু!

সেফটি পিনের আঘাতে ফাঁসির আসামীর মৃত্যু!

আমেরিকার বোস্টনে ১৯৮৬ সালে একটি অদ্ভুত পরীক্ষা করা হয় ৷ এক ফাঁসির আসামীকে ফাঁসির সাজা শোনানো হলো ৷ কতিপয় বিজ্ঞানী সে আসামীর উপর একটি পরীক্ষা করার প্রস্তাব করলেন । কয়েদীকে শোনানো হলো ফাঁসির বদলে তোমাকে বিষাক্ত কোবরা সাপ দংশন করিয়ে হত্যা করা হবে।

কয়েদীকে চেয়ারে বসিয়ে তার হাত-পা বেঁধে দেয়া হলো, তারপর তার চোখে পট্টি বেঁধে বিষাক্ত কোবরা সাপ না এনে তার বদলে দুটি সেফ্টি পিন ফুটানো হলো। ফলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কয়েদির মৃত্যু হলো ৷ পোস্টমর্টেম রিপোর্টে দেখা গেল সাপের বিষ রয়েছে তার শরীরের মধ্যে। প্রশ্ন হলো এই বিষ কোথা থেকে এলো, যা ঐ কয়েদীর প্রাণ কেড়ে নিল।

বলা হয় সেই বিষ তার নিজের শরীর থেকেই উৎপত্তি হয়েছিল।আমাদের সংকল্প থেকে positive এবং negative এনার্জির সৃষ্টি হয়। আর সে এনার্জি আমাদের শরীরে হরমোনের উৎপত্তি করে ৷ 75% রোগের মূল কারণ হলো আমাদের negative চিন্তাধারা।

মানুষ নিজের চিন্তাধারা থেকে ভস্মাসূর হয়ে নিজ প্রজাতিকে বিনাশ করছে। আপনার চিন্তাধারা সর্বদা positive রাখুন এবং খুশী থাকুন।

২৫ বছর বয়স পর্যন্ত আমরা ভাবি যে ‘‘মানুষ কি মনে করবে!” ৫০ বছর আমরা ভয় পাই ‘মানুষ কি ভাববেন!‘ ৫০ বছর পরে আমরা বুঝতে পারি ‘’কেউ আমার কথা চিন্তাই করেনি৷‘’ কিন্তু তখন তেমন কিছু করার থাকে না!

তাই ইচ্ছেশক্তিকে কখনোই থামতে দেয়া যাবে না। কে কি বলে তা নিয়ে না ভেবে নিজের পজিটিভ চিন্তাগুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই সফলতা (Desired Goal) ধরা দিবে।

উপরের এই কথাগুলো ফেসবুক ব্যবহারকারী “দীপঙ্কর পাত্র ” পোস্ট করেছেন জীবনের ইতিবাচক শক্তির প্রাসঙ্গিকতাকে বোঝাতে।

এই পোস্টটি প্রায় চার হাজারবার শেয়ার হয়েছে ফেসবুকে। অনেকেই এই ঘটনাটিকে সত্যি মনে করে পোস্টটির তারিফ করেছেন।অনেকে এই ঘটনার সত্যতার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম তদন্ত করে দেখেছে যে এই পোস্টটির তথ্য বিভ্রান্তিকর। ঘটনাটির কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় নি। এই একই গল্প ফেসবুক পেজ ‘শোভা মিশ্র কমিউনিকেশন স্কিলস এন্ড পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট ‘ পোস্ট করেছিল ২০১৭সালে।

এছাড়াও ব্লগার “কৃষ্ণা” , ২০১৬ সালে ‘ পিএইচডি ইন স্পিরিচুয়ালিটি ‘ বলে একটি ব্লগসাইটে এই ঘটনাটি লেখেন।সেখানে তিনি বলেন রুশ বিজ্ঞানীরা এই পরীক্ষাটি করেন। তবে ব্লগের শেষে উনি একথা উল্লেখ করেন যে তথ্যের সত্যতার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

Facebook Comment

You May Also Like