
একবার দুই ভাই বাজারে গেছে। ছোট ভাই মাছ-হাটায় মাছ কিনে তরকারি হাটায় গেছে তরিতরকারি কিনতে। তরকারি-হাটার পাশেই গেণ্ডারি বা আখের হাট। বড় ভাই গেছে সেই গেণ্ডারি বা কুশার কিনতে।
বড় ভাই ছিল কড়া ধাতের রগচটা মানুষ। যখন তখন মানুষের সঙ্গে এ কথা সে কথা নিয়ে কুরুক্ষেত্র বাধিয়ে দিতে তার জুড়ি ছিল না। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে কথায় কথায় সে রেগে উঠতো আর তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক-বিতণ্ডা-হাতাহাতি মারামারি লাগিয়ে দিত।
তো, সেদিন কুশার-হাটে কুশারওয়ালার সঙ্গে দামাদামি করতে গিয়ে যখন বনিবনা হয়নি, তখন হঠাৎ সে বলে, মিয়া এমুন দাম চাইলে কুশার মার্গ দিয়া হান্দাইয়া দিমু।
আর যায় কোথায়? কুশারওয়ালাও ছিলো যেমন তাড়া তেমনি ঠেটা আর বদরাগী।
সে একখানা বড় সাইজের কুশার হাতে নিয়ে বলে : আয়শালা দেখি কে কার মার্গে কুশার ঢুকায়?
বড় ভাইও একখানা কুশার হাতে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে যায় কুশারওয়ালার দিকে। তখন অন্য কুশার বিক্রেতারাও জোট বেঁধে বড় ভাইকে ধরে হাটুরে কিল এবং কুশারপেটা করতে থাকে।
পাশের তরকারি বাজার থেকে ছোট ভাই গেণ্ডারি-হাটায় ওই দক্ষযজ্ঞ কাণ্ড এবং ভাইয়ের দুরবস্থা লক্ষ্য করে দৌড়ে পালিয়ে বাড়িতে ফিরে হাঁফাতে হাঁফাতে মাকে বলে : মা, মা, আল্লায় আমার সম্মান বাঁচাইছে।
মা : কেমন কইরা তর সম্মান বাঁচলো, ক দেহি।
ছোটভাই : বড় ভাইরে গেণ্ডারিওয়ালারা ঘাওড়ামি আর আকথা কুকথা কওনের জন্য ধইরা গেণ্ডারি দিয়া বাইড়াইতেছে।
মা : হায় হায় কস কি! কী আহাম্মক তুই!
মা ছোটে তার ভাসুরের কাছে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনার জন্য।