ভয় সমগ্র – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় (২৩ মার্চ, ১৯১৬ — ২০ জানুয়ারী, ১৯৮১) একজন বাঙালি সাহিত্যিক। হরিনারায়ণ ১৯১৬ সালে কলকাতার ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তারপর তাদের বার্মা বা মিয়ান্মারে চলে আসতে হয়। রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করে রেঙ্গুন আদালতে আইনজীবীর কাজ শুরু করেন তিনি। বার্মায় পঁচিশ বছর অতিবাহিত করার পরে ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি।
তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস রেঙ্গুনের পটভূমিকায় লেখা ইরাবতী ১৯৪৮ সালে দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। শিশুদের জন্য লেখা বইয়ের মধ্যে বিখ্যাত হল, ভয়ের মুখোশ ও পাথরের চোখ। তাঁর রচিত সাহিত্য থেকে বাংলায় অভিসারিকা, অশান্ত ঘূর্ণি, জি টি রোড আর হিন্দিতে মুঠঠি ভর চাউল সিনেমাগুলি তৈরি হয়েছে। শিশুদের জন্য লিখেছেন বহু ছোটোগল্প, রহস্য কাহিনী, ভূতের গল্প, রম্যরচনা এবং উপন্যাস। হরিনারায়ণ বেতার নাটকে অভিনয় করতেন। কৌতুক অভিনেতা ভানু বন্দোপাধ্যায়ের অসংখ্য জনপ্রিয় রম্য নাটক তার লেখা। ১৯৭২ সালে মতিলাল পুরস্কার এবং ১৯৭৬ সালে তারাশঙ্কর পুরস্কারে সম্মানিত হন হরিনারায়ণ। ১৯৪৯ সালের চলচ্চিত্র চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন -এ তিনি দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ২০ জানুয়ারী ১৯৮১, কলকাতায় মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মারা যান সাহিত্যিক হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।
সূচিপত্র :
- অলৌকিক
- পাঁচ মুণ্ডীর আসর
- অমর-ধাম
- পিছনের জানলা
- অবিশ্বাস্য
- আমরা আছি
- গোয়েন্দা ও প্রেতাত্মা
- কুপার সাহেবের বাংলো
- জনাব মঞ্জিল
- মূর্তির কবলে
- অমানুষিক
- বানরের পাঞ্জা
- গভীর রাতের কান্না
- রাত্রি নিশীথে
- টান
- ভূতুড়ে রাত
- ভূত নেই?
- সুরের মায়া
- প্রতিহিংসা
- মৃত্যুর পরে
- ফাঁসির আসামি
- আগন্তুক
- ভূতচরিত
- ভূতুড়ে কাণ্ড
- আরণ্যক
- রাতের প্রহরী
- অবাস্তব
- আবার ভূত
- বনকুঠির রহস্য
- বেনেটির জঙ্গলে
- বিনোদ ডাক্তার
- রাত গভীর
- সামন্ত বাড়ি
- লাল নিশানা
- রূপে সে কুরূপা
