Monday, September 15, 2025
Homeলাইফস্টাইলব্রণ কেন হয়? ব্রণ সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

ব্রণ কেন হয়? ব্রণ সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

ব্রণ কেন হয়? ব্রণ সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

ব্রণ একটি দুঃস্বপ্নের মতো! আর যেকোনো মেয়েই, শুধু মেয়ে কেন, সৌন্দর্য্য সচেতন যেকোন মানুষ সে নারী কিবা পুরুষ যেই হন না কেন ব্রণ থেকে সব সময় দূরে থাকে চান। ব্রণ হওয়ার কোন নির্দিষ্ট জায়গা নেই।

ব্রণ কেন হয় এই প্রশ্ন অনেকেরই মনে। বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণ হয়নি এমন মানুষ খুবই কম। কিন্তু পরিনত বয়সে ব্রণ কেন হয়? ব্রণ মানেই সারা মুখে গোটা, ব্যথা এবং শেষে দাগ। নানা কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কী সেই কারণ? জানার সঙ্গে জেনে নিন কীভাবে কমাবেন।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে নানা কারণে ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমস্যা হয়। ময়লা, ঘাম, দূষণে গ্রন্থির মুখে আটকে গেলে সিস্ট জমে এই সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমে ফুসকুড়ি। তারপর ব্রণ। শেষে তা বড় আকার নেয়। ব্যথাও হয়। অনেকেরই মুখে তারপর দাগ থেকে যায়। এছাড়াও আছে অন্যান্য কারণ।

ব্রণের কারণ

১. ত্বকের অযত্ন দূষণ, ময়লা, মেকআপ এবং অন্যান্য টক্সিন থেকে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার না করলে সহজেই ত্বকের ছিদ্র আটকে যায়। তাই রোজ ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে উঠে ফেশওয়াশ বা স্ক্রাবার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হয় নিয়মিত।

২. জীবাণু সংক্রমণ নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করতে কেবল ফেসওয়াশ বা শাওয়ার জেল যথেষ্ট নয়। আপনার ত্বকে সংক্রমণ হলে তা কমাতে যেমন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয় তেমনি স্ক্রাবার দিয়ে ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে হয়। এতে জীবাণুর হামলা কমে।

৩. হরমোনের পরিবর্তন হরমোন ক্ষরণের তারতম্য ঘটলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা দেখা গিলে তখন দরকার ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। হরমোনের কমবেশি শ্ক্ষরণ রক্তের পাশাপাশি ছাপ ফেলে ত্বকেও।

৪. অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড চিজি পিজ্জা, মাংসের বার্গার বা পকোড়া, সিঙাড়া, ভাজাভুজি, মিষ্টি, ক্যাডবেরি, কোল্ড ড্রিংকস যত খাবেন ততই ব্রণের হামলা বাড়বে। তারণ, এই ধরনের ভাজাভুজি হজমের সমস্যার কারণ। যার থেকে ব্রণর উৎপাত নতুন কিছু নয়। এর থেকে হওয়া ওবেসিটিও হয়। সেটিও ব্রণের অন্যতম কারণ।

৫. টেনশন থেকেও হয় ব্রণ অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক এবং অবসাদ, টেনশন-তিনে মিলে জন্ম দেয় মুখ ভর্তি ব্রণের। তাই সবসময় টেনশন ফ্রি থাকার চেষ্টা করুন।

৬. কম ঘুম কম ঘুম ব্রণর জন্য দায়ী। চিকিৎসকেরা তাই বলেন রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো দরকার। এতে ত্বকে হরমোন ব্যালান্স ঠিক থাকে। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ত্বক থাকে আয়নার মতোই ঝকঝকে।

৭. অতিরিক্ত ঘাম অত্যধিক ঘাম থেকেও অনেকের ব্রণ হয়। তাই যাঁরা নিয়মিত ওয়ার্কআউট করেন বা রোদে ঘোরেন তাঁদের মাঝেমধ্যেই ত্বক ধুয়ে নেবেন। অতিরিক্ত ঘামের হাত থেকে বাঁচতে। কারণ, বেশি ঘাম মানেই জীবাণু, ময়লা, দূষণ আটকে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। জন্ম ন্যায় ত্বকের নানা সমস্যা।

৮. সঠিক মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী মেকআপ বাছুন। সালফেটস, প্যারাবেন্স সমৃদ্ধ মেকআপ ট্রেন্ড হলেও এড়িয়ে চলুন ত্বকের কথা ভেবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মেকআপ তুলবেন। না হলে সারারাত ওই মেকআপ বসে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর থেকেও ব্রণ হয়। সারা রাত মেকআপ থাকা মানে ত্বক শ্বাস নিতে না পারা।

ব্রণ সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

শসা

কেবল খাদ্যগুণই নয়, শসার নানা গুণ রয়েছে। তার মধ্যে একটা অবশ্যই ত্বকের কাজে লাগা। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এর প্রতিটিই ত্বকের জন্য মারাত্মক ভালো। শসা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ। এছাড়াও শসাকে অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারেন। শসা গোল গোল করে কেটে অন্তত একঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি খেয়েও নিতে পারেন, বা ওই পানি দিয়ে মুখও ধুয়ে নিতে পারেন।

টুথপেস্ট

ফেসপ্যাকের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন টুথপেস্ট। মুখের অতিরিক্ত তেল টেনে নেওয়ায়র ক্ষমতা আছে এই পেস্টের। ফলে তৈলাক্ত ত্বকের কারণে যাদের মুখে ব্রণ বা গোটা বেরয়, তারা টুথপেস্ট ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন। তবে বেশি নয়, খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন ব্রণের জায়গায়। সমস্যা না হলে পরিমাণ বাড়ান।

গ্রিন টি

গ্রিন টি গোটা বা ব্রণের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী। গরম পানি গ্রিন টি বানান। তারপর সেই গ্রিন টি একদম ঠাণ্ডা করে ব্রণ বা গোটার জায়গায় ব্যবহার করুন। তুলায় ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভালো করে ত্বকের ওপর মিশতে পারবে চায়ের মিশ্রণটি। যদি টি ব্য়াগ থেকে গ্রিন টি বানান, তাহলে ঠাণ্ডা গ্রিন টি ব্যাগটিও রাখতে পারেন ত্বকের ওপর। মিনিট ২০ রাখার পর ধুয়ে নিন।

অ্যাসপিরিন

খাওয়ার ওষুধ হিসেবেই নয়, ব্রণ বা গোটা সারাতেও এই ওষুধের জুড়ি নেই। এতে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে দেয়। চার-পাঁচটা ট্যাবলেট প্রথমে গুঁড়িয়ে নিন। তারপর সেগুলো অল্প পানির সঙ্গে মেশান। এমনভাবে মেশাবেন, যাতে একটা পেস্ট তৈরি হয়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে পেস্ট আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে, কয়েক মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে পারেন।

রসুন

রসুন ব্রণের বড় শত্রু। এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। এক-দুই কোয়া রসুন দুই টুকরা করে কেটে নিন। তারপর ব্রণের জায়গায় রসটা লাগান। মিনট পাঁচেক পরে ধুয়ে ফেলুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে এটা করলে পরদিন সকালে ত্বকের উন্নতি টের পাবেন।

লেবুর রস

তুলায় করে লেবুর রস ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। লেবুর রসের সঙ্গে দারুচিনির মিশ্রণ তৈরি করে, রাতে শুতে যাওয়ার আগে সেটা ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে নেবেন।

Anuprerona
Anupreronahttps://www.anuperona.com
Read your favourite literature free forever on our blogging platform.
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here


Most Popular

Recent Comments