Monday, August 18, 2025
Homeরম্য গল্পন্যাড়ার বেলতলা - অনিরুদ্ধ সেন

ন্যাড়ার বেলতলা – অনিরুদ্ধ সেন

ন্যাড়ার বেলতলা – অনিরুদ্ধ সেন

কৌশিক এক বহুজাতিক সংস্থার জুনিয়র এক্সিকিউটিভ, আপাতত মুম্বইয়ে পোস্টেড। আজ বিকেলে সে দক্ষিণ মুম্বইয়ের এক ট্র্যাভেল এজেন্সিতে এসেছিল তার সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য। সিঙ্গাপুর ভিসা কতগুলি নির্দিষ্ট ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমেই করতে হয়। আর কৌশিক এই সফরে বেড়ানো ছাড়া কিছু কামধান্দার চেষ্টাও করবে বলে অফিসের ট্র্যাভেল ডেস্ককে না জড়িয়ে নিজেই এসেছে।

বিকেলবেলা এজেন্সির অফিসে বেশ ভিড় ছিল। কিছুটা গুঁতোগুঁতি করেই সে যখন পাসপোর্ট নিয়ে বেরোল ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমেছে। ছত্রপতি টার্মিনাসের দিকে এগোচ্ছে, হঠাৎ পেছনে কিছুদূরে নারীকণ্ঠের আকুল আহ্বান, “শুনছেন, একটু দাঁড়াবেন?”

তাকেই ডাকছে না তো? কৌশিক আড়চোখে পেছনে তাকাল আর তার বুক হিম হয়ে গেল – শিরিন! সেই মেয়ে, যার হাত থেকে বাঁচতে সে কলকাতার মৌরুসিপাট্টা ছেড়ে মুম্বইয়ে পালিয়ে এসেছে। দ্বিতীয়বার পেছনে না তাকিয়ে সে চলার গতি বাড়িয়ে দিল আর মুম্বইয়ের সান্ধ্য ভিড়ের মধ্যে এঁকেবেঁকে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করতে লাগল।

কিন্তু শিরিন নাছোড়। “কী আশ্চর্য! এক মিনিট দাঁড়াবেন তো, বলছি খুব দরকার।” বলে সেও পেছন পেছন আসতে লাগল। এড়াবার চেষ্টায় কৌশিক দ্রুতপায়ে হলুদ হয়ে যাওয়া ট্র্যাফিক লাইট পেরিয়ে রাস্তার ওপাশে পৌঁছে ভাবল শিরিন এবার আটকে যাবে। কিন্তু পেছনে তাকিয়ে দেখল সবুজ সঙ্কেত পেয়ে ট্র্যাফিক নড়েচড়ে ওঠার আগেই বেপরোয়া মেয়েটা বিপজ্জনকভাবে গাড়িগুলির সামনে দিয়ে ছুটতে ছুটতে রাস্তা পেরোচ্ছে।

কৌশিক একটা গলিতে ঢুকল। কিন্তু শিরিনের নজর এড়ায়নি। কী সৌভাগ্য, কাছেই একটা খালি ট্যাক্সি। চটপট দরজা খুলে হাঁফাতে হাঁফাতে বসে পড়েই কৌশিক বলল, “চলিয়ে।”

ড্রাইভার সর্দারজী তার আপাদমস্তক মাপছে। তারপর বলল, “কাঁহা?”

“চেম্বুর।” ড্রাইভার দ্বিরুক্তি না করে স্টার্ট দিল।

জোর বাঁচা গেছে, হাঁফ ছাড়ল কৌশিক। কিন্তু ট্যাক্সি ছত্রপতি টার্মিনাস ছাড়িয়ে জে জে ফ্লাইওভারে ওঠার আগেই পেছনে কিছুদূরে দেখল, একটা ট্যাক্সিতে বসে শিরিন ড্রাইভারকে উত্তেজিতভাবে কী নির্দেশ দিচ্ছে।

মেয়েটা এঁটুলির মতো লেগে রয়েছে, সহজে ছাড়বে না, ভাবছিল হতাশ কৌশিক। কিন্তু সায়ন সার্কল পেরোতেই দেখল শিরিনের ট্যাক্সি পেছনে নেই। নিশ্চয়ই রেড সিগনালে আটকেছে, অন্তত মিনিট পাঁচেকের ধাক্কা। ততক্ষণে সে হাওয়া।

একটুর জন্য বেঁচে গেছে! বাসায় পৌঁছে ফুলস্পীড ফ্যানের তলায় বসে ভাবছিল কৌশিক। কয়েকশো টাকার দণ্ড অবশ্য গেল, অনায়াসে এসি বাসে আসা যেত। তবে যে বিপদ এড়ানো গেছে তার তুলনায় এ কিছুই নয়।

শিরিনের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয়ও হয়েছিল এমন এক সন্ধ্যাবেলায়, তবে কলকাতায়। সেই সন্ধেয় হঠাৎ অঝোর বৃষ্টি নেমেছিল। সেক্টর ফাইভের অফিস থেকে বেরিয়ে কৌশিক একটা শেডের তলায় দাঁড়িয়ে বাস বা অটোর অধীর অপেক্ষায়। কিন্তু বৃষ্টি বিপর্যস্ত সল্ট লেকে যানবাহন অনিয়মিত। যা আসছে সেগুলো লোকে মারামারি করে উঠে ভরিয়ে দিচ্ছে।

গোবেচারা কৌশিক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির ছাঁটে ভিজছে। হঠাৎ একটা স্যান্ট্রো সামনে এসে দাঁড়াল, ড্রাইভারের সীটে একটি মেয়ে। জানালা খুলে সে ইংরেজিতে বলল, “ভিজছেন কেন? উঠে আসুন।”

মুখ চেনা, তাদের কম্পানিতেই কাজ করে। তবে ব্রাঞ্চটায় অনেকগুলি ডিপার্টমেন্ট, তাই পরিচয় হয়নি। কয়েক মুহূর্ত, তারপর দ্বিধা কাটিয়ে কৌশিক উঠে পড়ল।

“যাবেন কোথায়?”

“এই কাছাকাছিই, সেক্টর টু’তে। বৃষ্টিটা একটু ধরলেই চলে যেতাম, আপনি আবার কষ্ট করে –”

“মাই প্লেজার। আপনার বুঝি বাড়ি এখানে?”

“না, না। আমার বাড়ি কল্যাণীতে, তবে যাতায়াতের সুবিধের জন্য এখানে আমার এক বন্ধুর দাদার ফ্ল্যটে থাকি। দাদাটি বেশিরভাগ সময় বিদেশে থাকেন। নির্ভরযোগ্য কাউকে ভাড়াটে কাম কেয়ারটেকার হিসেবে খুঁজছিলেন, তাই –”

“ও, তবে একাই আছেন।”

“মোটামুটি। দাদা একা বা সপরিবারে মাঝে মাঝে আসেন। তাতে অবশ্য অসুবিধা হয় না, অনেক জায়গা। তা, আপনি কোথায় থাকেন?”

“লেক টাউনে, পিজিতে। এই পথেই যাই, ভাববেন না আপনার জন্য বিশেষ ডি-ট্যুয়র হল।”

বাসা তো মিনিট পনেরোর মধ্যে এসে গেল। ততক্ষণে বৃষ্টিও ধরে এসেছে। কিন্তু গাড়ির দরজা খুলে ধন্যবাদ জানিয়ে যখন কৌশিক নামতে যাবে, মেয়েটি দুষ্টু হেসে বলল, “সে কী, বাড়ির সামনে এনে এক কাপ কফি খেয়ে যেতেও বলবেন না? নাকি সেসব পাট নেই?”

“না না, তা নয়, আসুন।” অপ্রস্তুত কৌশিক বলল, “আমি ভাবছিলাম আপনার তাড়া আছে।”

আর এভাবেই শেয়ালকে ভাঙা বেড়া দেখানো হল। এটা পরে দুঃখ করে ভাবত কৌশিক। তখন অবশ্য তা মনে হয়নি। এক মোটামুটি দর্শনলোভা তরুণী গায়ে পড়ে আলাপ জমাতে চাইছে, বেশ লাগছিল। তারপর আলাপ থেকে ক্রমে দেখাদেখি, শোঁকাশুঁকি, শোয়াশুয়ি। শেষেরটায় কৌশিকের সোৎসাহ উদ্যোগ ছিল বলা যায় না। তবে কোনও উদ্ভিন্নযৌবনা যদি জড়িয়ে ধরে “করব, করব” বলে মোচড়াতে থাকে তখনও অবিচল থাকার মতো জিতেন্দ্রিয় সে নয়।

সেই মধুকাল অবশ্য অচিরেই ফিকে হয়ে গেল, যখন কৌশিক বুঝতে পারল সে এক মধুজালে পড়েছে। টের পেল, মেয়েটা নিঃসাড়ে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলি ক্যামেরাবন্দি করছে। তারপর শুরু হল প্রেগনেন্সির গল্প ফেঁদে ইনিয়েবিনিয়ে টাকার আর বিয়ের জন্য চাপ, না মানলে রেপ কেসের প্রচ্ছন্ন হুমকি। এই গতবাঁধা প্লটটা সিনেমাখোর কৌশিকের পক্ষে আঁচ করা অসম্ভব ছিল না। তবে কে জানত, গল্পও সত্যি হয়?

দিশেহারা কৌশিক শেষে তার স্কুলবেলার বন্ধু তপনকে ধরল। তপন পাড়ায় ‘দাদা’ বলে খ্যাত, ঠেকায় জোকায় মানুষ তার কাছে যায়। সব শুনে তপন হাই তুলে বলল, “এ আর কী ব্যাপার, সুপারি দিয়ে দে। রাজি থাকিস তো বল, তোর বাজেটের মধ্যে করিয়ে দিচ্ছি।”

কৌশিক শিঁটিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটা পাজি। তা বলে যে দেহের সংস্পর্শে তার এত সুখস্মৃতি, তাকে একেবারে নিভিয়ে দেবে? তার ফ্যাকাশে মুখের দিকে চেয়ে তপন মুচকি হেসে বলেছিল, “প্রাণে লাগল, মজনু? তাহলে আর কী, এবার টোপর পরো।”

তেমনটাও যে কৌশিক ভাবেনি তা নয়। কিন্তু ঘনিষ্ঠ কলিগ-বন্ধু অতনুর কাছে শিরিনের সম্বন্ধে জিগ্যেস করতেই সে বাঁকা হেসে যা বলল তাতে সেই ইচ্ছেও ত্যাগ করতে হল। মেয়েটা নাকি একসঙ্গে একাধিক প্রেমিকের সঙ্গে এই লীলাখেলা চালিয়ে যাচ্ছে। যাদের ফিউচার প্রসপেক্ট ভালো বলে বোঝে বেছে বেছে তাদেরই ধরে, শেষ অবধি হয়তো কোনও একজনের সঙ্গে ঝুলে পড়বে।

স্বয়ংবরা শিরিনের এ-লিস্টে তার নামও আছে ভেবে কৌশিকের গর্ব হতে পারত। কিন্তু তার তখন ফাঁদে পড়া পশুর দশা, ঐ খুন করা ছাড়া যে কোনও পথে মুক্তি খুঁজছে। আর পেয়েও গেল মুক্তি। অ্যাপ্লাই করতে করতে শেষ অব্দি মুম্বইয়ের একটা চাকরি লেগে গেল। ভালোমন্দ বিচার না করেই কৌশিক সেই অন্ধকারে ঝাঁপ দিল।

যাওয়ার আগে সে সযত্নে ফোন নম্বর, ই-মেইল আইডি সব পাল্টে নিল, যাতে কেউ তার হদিস না পায়। একমাত্র প্রাণের বন্ধু অতনুকে বার বার গোপনীয়তার দিব্যি খাইয়ে তার কন্টাক্ট জানিয়ে গেল। আর বাড়িতে বলে গেল পুরনো অফিসে তার দশ লাখের একটা সার্ভিস বণ্ড দেওয়া আছে, তাই সেখান থেকে কেউ খোঁজ করলে যেন তার হদিস না দেওয়া হয়।

নতুন চাকরিটা দুর্ধর্ষ না হলেও চলনসই। তবে মুম্বই কর্মব্যস্ত মহানগর। এখানে থাকলে এর চেয়ে ভালো চাকরির খোঁজ পাওয়া অসম্ভব নয়। কিন্তু কৌশিক তার আগে অতীতের ধাক্কা সামলে একটু থিতু হতে চায়। বছর দুয়েকে সেটা হয়েও এসেছিল। এখন সে চেম্বুরে একটা ছোট ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছে। সেখান থেকে বম্বে-কুরলা কমপ্লেক্সের অফিসে যেতে বেশি সময় লাগে না। শিরিনের স্মৃতিও ফিকে হয়ে এসেছে।

কিন্তু কী বদ নসিব, শিরিনও সেই মুম্বইয়েই এসে হাজির। আর এমন কপাল, ঠোকাঠুকিও হয়ে গেল রাস্তায়! আপাতত স্বস্তি, কিন্তু ভবিষ্যতে কী আছে কে জানে!

আর ঐ যে একটা কথা আছে না কাদের যেন ভুলক্রমে স্মরণ করলেই তারা এসে হাজির হয় – কৌশিকের হোয়াটসঅ্যাপে টুং করে একটা মেসেজ। অতনু পাঠিয়েছে। খুলে দেখল, “তোর এক্স-জিএফ শিরিন বিশেষ দরকারে তোর ঠিকানা চাইছিল। দিই?” তারপরে একটা স্মাইলি।

ব্যাটা তাহলে হয়তো চাপাচাপিতে বলে দিয়েছে যে কৌশিক মুম্বইয়ে আর মেয়েটা তার খোঁজে ঠিক এসে হাজির হয়েছে। স্বস্তির মধ্যেও কৌশিকের মনে একটা সংশয়ের কাঁটা। আর তখনই তার ডোরবেলটা বেজে উঠল। কী-হোলে চোখ লাগিয়ে দেখল, ওপাশে দাঁড়িয়ে শিরিন অধৈর্যভাবে টিস্যু দিয়ে নাক মুছছে।

ঠিক গন্ধ শুঁকে এসে হাজির হয়েছে! হতাশার প্রান্তে উপনীত কৌশিক একবার ভাবল আলো নিভিয়ে দরজা না খুলে চুপচাপ বসে থাকে অথবা দোতলার ব্যালকনি দিয়ে লাফ মেরে পালায়। কিন্তু শিরিন নিশ্চয়ই তাকে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখেই হাজির হয়েছে। এভাবে বড়জোর কিছুক্ষণ রেহাই মিলবে। বরং তাহলে মেয়েটা পড়শিদের ডেকে উল্টোপাল্টা বলে ওর বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। তার চেয়ে এখনই সাহস করে মুখোমুখি হয়ে ফয়সালা করে নেওয়া ভালো। কৌশিক দড়াম করে দরজা খুলে শিরিনের সামনে দাঁড়াল।

“আপনি?”

অবাক কৌশিক দেখল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি দেখতে এমনকি ম্যানারিজমেও অনেকটাই শিরিনের মতো হলেও সে নয়। পাপী মন তো, রজ্জুতে সর্পভ্রম হয়েছিল!

“আমি মেঘনা। আর আপনি নিশ্চয়ই কৌশিক সান্যাল?”

“হ্যাঁ। কিন্তু আপনাকে তো আমি –”

“চিনবেন না। চেনার দরকারও ছিল না, যদি তখন আমার ডাক শুনে দাঁড়াতেন।”

“ডেকেছিলেন নাকি?” কৌশিক ন্যাকাবোকা, “আসলে আমি কানে একটু – মানে, ভিড়ের রাস্তায় ঠিক –”

“তাই বুঝি? আমার তো মনে হল আমাকে দেখে আপনি ভূত দেখার মতো পালাচ্ছিলেন। বোধহয় অন্য কেউ ভেবেছিলেন। যাক, সেসব আপনার প্রাইভেট ব্যাপার। তবে কী, খামকা আমার খানিক হয়রানি হল।”

“এক্সট্রিমলি সরি। কিন্তু আমাকে ডাকছিলেন কেন?”

“বলছি। দেখুন তো, এটা চিনতে পারেন কিনা।”

মেঘনার হাতে একটা পাসপোর্ট। তাড়াতাড়ি হাতে নিয়ে কৌশিক অবাক বিস্ময়ে বলে উঠল, “আমার! এটা নিশ্চয়ই আমার পাউচ থেকে পড়ে গিয়েছিল আর আপনি কুড়িয়ে পেয়ে – ছি, ছি, অকারণে আপনাকে এত কষ্ট দিলাম! কিন্তু আপনি আমার বাড়ি চিনলেন কীভাবে?”

“মাঝরাস্তায় আপনি যখন আমাকে ধোঁকা দিয়ে পালালেন, বাধ্য হয়ে আপনার পাসপোর্টের ঠিকানা দেখেই এখানে হাজির হতে হল। ভাগ্যিস ঠিকানাটা আপ-টু-ডেট!”

“কী বলে আপনাকে ধন্যবাদ দেব জানি না। চটজলদি অ্যাদ্দুর ছুটে এসে একজন অচেনা লোককে দরকারি জিনিসটা ফিরিয়ে দিয়ে গেলেন! এমন পরোপকারী মানুষও যে আজকাল হয় –”

“ওসব পরোপকার-টার ছাড়ুন তো – আমি এসেছি নিজের জ্বালায়। ট্র্যাভেল এজেন্টের ডেস্ক থেকে আপনি তো তাড়াহুড়োয় আপনার পাসপোর্টের বদলে আমারটাই পাউচে ভরে হাঁটা দিলেন। অগত্যা পেছন পেছন ধাওয়া করলাম। তারপরেরটা তো আপনি জানেন। তাড়াতাড়ি না এসে উপায় কী? আমার তো পরশুই ফ্লাইট।”

দ্রুতহাতে পাউচ খুলে কৌশিক দেখল সত্যিই তো, সেখানকার পাসপোর্টটা মেঘনা কামাথের! লজ্জায় তার চোখমুখ লাল হয়ে উঠল। কিন্তু সে কিছু বলার আগেই আবার একটা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ। অতনু আবারও স্মাইলি দিয়ে লিখেছে, “শিরিনের বিয়ে, আমাদের সিনিয়র ম্যানেজার অনুভব চৌধুরির সঙ্গে। তোকে কার্ড পাঠাতে চাইছিল।” আঃ, স্বস্তি! অবশেষে মেয়েটা তাকে রেহাই দিয়ে বড় গাছে নৌকো বাঁধতে চলেছে। এবার মেঘনার দিকে ফিরে সে বলল, “আরেকবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার ভুলে আপনার বড় হয়রানি হল।”

“শুধু ধন্যবাদ? এত কষ্ট করে অ্যাদ্দুর ছুটে আপনার বাড়ি এলাম, গলা শুকিয়ে কাঠ, এক কাপ কফিও অফার করবেন না?”

“অবশ্যই, অবশ্যই!” মেঘনার দুষ্টু চোখের ঝিলিক আর শরীরী ভাষার মানে বোঝার চেষ্টা করতে করতে কিচেনে পৌঁছে কৌশিক দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবল, কিছু ন্যাড়া হয়তো বারবার বেলতলায় যায়!

Anuprerona
Anupreronahttps://www.anuperona.com
Read your favourite literature free forever on our blogging platform.
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here


Most Popular

Recent Comments