Sunday, September 14, 2025
Homeথ্রিলার গল্পভৌতিক গল্পমণ্টির মা - নরেন্দ্র দেব

মণ্টির মা – নরেন্দ্র দেব

মণ্টির মা – নরেন্দ্র দেব

মণ্টির বয়স যখন সবে চার–পাঁচ বছর সেই সময় মণ্টির মা মারা গেলেন। মাকে হারিয়ে মণ্টি বড়ই কাতর হয়ে পড়ল। তাকে সবাই বোঝাতে লাগল যে, তার মা মামার বাড়ী বেড়াতে গেছে-শীগগিরই ফিরে আসবে। মণ্টি কিন্তু কারুর কথাই শোনে না কেবলই মার জন্য কাঁদে। কেবলই বলে, মার কাছে যাবো; মা কোথা গেল? আমার মাকে এনে দাও?

মণ্টির বাবা মণ্টিকে নিয়ে বড়ই বিব্রত হয়ে পড়লেন। সমস্ত দিন তার আর কোনও কাজকর্ম নেই, কেবল ছেলেকে নিয়ে থাকতে হয়। রোজ বিকেলে তাকে নিয়ে বেড়াতে যেতে হয়। কোনও দিন বায়স্কোপ দেখাতে নিয়ে যান, কোনও দিন গড়ের মাঠে ফুটবল খেলা দেখাতে নিয়ে যান, কোনও দিন আলিপুরের চিড়িয়াখানা দেখাতে নিয়ে যান, কোনও দিন বা মিউজিয়াম ঘুরিয়ে নিয়ে আসেন। এমনি করে দিনগুলো একে একে কাটুতে লাগল বটে, কিন্তু রাত্রি আর কাটতে চায় না।

রাত্রে বাপের কোলের কাছটিতে ঘেঁসে শুয়ে বাপের গলা জড়িয়ে ধরে মণ্টি যতক্ষণ না ঘুমোবে ততক্ষণ কেবলই তার মায়ের কথা কয়, হ্যাঁ বাবা, মা কবে মামা বাড়ী থেকে আসবে? চল না বাবা, তুমি আমি দু’জনে মামার বাড়ীতে গিয়ে মাকে নিয়ে আসি। মার জন্যে যে আমার বড় মন কেমন করছে!

এমনি করে প্রতিদিন মণ্টি যখন তার মার কথা তুলে তার বাবাকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলত, মণ্টির মার জন্যে মণ্টির বাবারও প্রাণটা কেঁদে উঠত। চুপি চুপি পাশ ফিরে কোঁচার কাপড়ে চোখের জল মুছে ফেলে মণ্টির বাবা বলতেন, ‘তুমি এখন ঘুমোও, কাল তোমাতে আমাতে গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে আসবো।’

এমনি করে আর কদিন চলে! মণ্টি ক্রমেই মার জন্যে হেদিয়ে উঠতে লাগল, কিছু খেতে চায় না; কোথাও যেতে চায় না, খেলাধুলো করাও ছেড়ে দিলে। দিনরাত মুখ শুকিয়ে বেড়ায়। আর তেমন করে হাসে না, দিনদিন সে রোগা হয়ে যেতে লাগল।

মণ্টির অবস্থা দেখে তার বাবার বড় ভাবনা হলো, তাইতো ছেলেটার জন্যে কি করা যায়। শেষে তিনি একদিন চিঠি লিখে লোক পাঠিয়ে দিয়ে মণ্টির এক মাসীমাকে নিয়ে এলেন। মণ্টির মাসীমা এসে আদরযত্নে মণ্টিকে অনেকটা ঠাণ্ডা করে ফেললেন। মাসীমাকে পেয়ে মণ্টি আস্তে আস্তে তার মার কথা ভুলে যেতে লাগল, ক্ৰমে মাসীমাই মণ্টির কাছে সর্বস্ব হয়ে উঠল।

যে সব স্নেহের দাবী দাওয়া অত্যাচার সে তার মার উপর করতো, তার সেই সব আবদার এখন মাসীমাকেই শুনতে হয়। মণ্টির বাবা যখন দেখলেন যে, ছেলে তার মাসীকে পেয়ে মায়ের অভাব তো ভুলেছেই, এমন কি বাপকে সুদ্ধ আর চায় না, তখন তিনি আবার নিজের কাজকর্মে মন দিলেন। এমনি করে আরও তিন চার মাস কেটে গেল।

কিন্তু মাসী তো তার বাড়ী ছেড়ে চিরকাল মণ্টিদের ওখানে থাকতে পারবেন না, তাকে এইবার চলে যেতে হবে। তিনি মণ্টির বাবাকে ডেকে বললেন, ‘দেখ, আমার তো আর থাকবার সময় নেই। অনেকদিন হলো এসেছি, এইবার আমায় ফিরতেই হবে, কিন্তু মণ্টির সম্বন্ধে কি করা যায় বলো তো? ও তো আমায় একদণ্ডও ছাড়তে চায় না, তা আমি কি ওকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবো?’

মণ্টির বাবা বললেন, ‘তা হলে আমি আর এ বাড়ীতে একদণ্ডও থাকতে পারবো না। মণ্টি চলে গেলে আমি বাঁচবো না।’

মণ্টির মাসী হেসে বললেন, ‘তা হলে ছেলেকে একটি তার মনের মতন ‘মা’ এনে দাও, তা হলেই সে বেশ থাকবে।’

মণ্টির বাবা বললেন, ‘সে এখন আমি কোথায় পাবো? তার চেয়ে মণ্টির দিদিমাকে দেশ থেকে আনতে পাঠাই না কেন? তিনি তো একলাটি সেই পাড়াগাঁয়ের মধ্যে পড়ে আছেন। তাঁকে নিয়ে আসি, এখানে থাকবেন আর তার নাতীকে দেখবেন শুনবেন।’

মণ্টির মাসী ঘাড় নেড়ে বললেন, ‘তিনি আর এ বাড়ীতে ঢুকবেন না। যে বাড়ীতে তাঁর মেয়ে মারা গেছে, সে বাড়ী তিনি আর মাড়াবেন না, তা ছাড়া দেশের বাড়ীতে তার আর কেউ নেই যে, সন্ধ্যের সময় তুলসী তলায় একটা প্রদীপ জ্বেলে দেবে। তিনি সে ভিটে ছেড়ে আর কোথাও নড়বেন।’

মণ্টির বাবা বললেন, ‘তবেই ত মুস্কিল! তা হলে এখন উপায় কি?’

মণ্টির মাসী বললেন, ‘একমাত্র এর সহজ উপায় হচ্ছে যে, তুমি আবার একটি বিয়ে করে নতুন বউ নিয়ে এসো, সে এসে, মণ্টির মা হবে!’

মণ্টির বাবা বললেন, ‘তুমি আর কিছুদিন থাকো, আমি ভেবে দেখি।’

মণ্টির বাবা যেদিন আবার একটি বিয়ে করে বউ নিয়ে এলেন, মণ্টির মাসী তার কাছে মণ্টিকে নিয়ে গিয়ে বললেন, ‘বউ, এই তোমার ছেলে, একে মানুষ করবার ভার এখন তোমাকেই নিতে হবে!’ মণ্টিকে বললেন, ‘মণ্টি এই তোমার নতুন মা, খুব লক্ষ্মীছেলের মতন এঁর কাছে থাকবে। ইনি তোমায় খুব আদরযত্ন, করবেন, খুব ভালোবাসবেন।’

মণ্টি তার নতুন মার মুখের দিকে অনেকক্ষণ ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইল। নতুন মা হেসে হাত নেড়ে তাকে কাছে ডাকলেন। মণ্টির এই নতুন মা’টিকে বেশ পছন্দ হলো, সে ছুটে গিয়ে একেবারে তার গলা জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞাসা করলে, ‘তুমি আমার মা?’ নতুন মা তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে বললেন, ‘হ্যাঁ!’

মণ্টির মাসী এদের দু’জনের এই সদ্ভাব দেখে বেশ খুশী হয়ে নিজের বাড়ী ফিরে গেলেন।

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই, মণ্টির নতুন মা মণ্টিকে বড় অযত্ন করতে আরম্ভ করলেন! মণ্টি একটু কিছু দুষ্টুমি করলেই তিনি মণ্টিকে ধরে খুব মারধোর করতেন। মণ্টির বাবা কাজকর্ম থেকে ফিরে এলেই মণ্টি তার কাছে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে সব বলে দিত। মণ্টির বাবা প্রথম প্রথম মণ্টির দিকে হয়ে তার নতুন মাকে খুব বকতেন এবং মারধোর করতে বারণ করতেন। এতে কিন্তু আরও উল্টো ফল হতো। মণ্টির বাবা বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেলেই, মণ্টির নতুন মা তাকে আরও বেশী করে শাসন করতেন। পেট ভরে তাকে খেতে দিতেন না, কথায় কথায় উঠতে বসতে দাঁত খিঁচুতেন। খুব মেরে ধরে ঘরের ভিতর সমস্ত দিন চাবি বন্ধ করে রেখে দিতেন। মণ্টি বেচারি কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়তো।

একদিন সে ঘুমুতে ঘুমুতে স্বপ্ন দেখলে যে, তার পুরোনো মা এসে যেন তাকে বলছেন, ‘মণ্টি, আয় আমার সঙ্গে তোর মামার বাড়ী গিয়ে থাকবি। এখানে আর থাকিস নি।’ মণ্টি ঘুম ভেঙে উঠে তাড়াতাড়ি মা–মা বলে ডেকে ঘর থেকে বেরুতে গিয়ে দেখলে, ঘরের দোর বাইরে থেকে বন্ধ করা রয়েছে। সে তখন ভয়ানক চেঁচামেচি করতে লাগল, দরজায় লাথি মারতে লাগল। তার নতুন মা তার এই কাণ্ড দেখে ভয়ানক রেগে এসে দরজা খুলে তাকে টেনে বার করে মারতে মারতে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিলেন। মণ্টি বাড়ীর সদর দরজার কাছে দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগল। তাই দেখে তিনি সদর দোর বন্ধ করে দিয়ে উপরে চলে গেলেন। মণ্টি দোরের ধারে চৌকাঠের উপর আছড়ে পড়ে কাঁদতে লাগল, ‘ও মা! দোর খুলে দাও! তোমার দুটি পায়ে পড়ি, আর আমি দুষ্টুমি করবো না!’

কিন্তু কেউ তাকে দরজা খুলে দিলে না। তখন ঠিক দুপুরবেলা, রাস্তায় লোকজনও কেউ ছিল না। বেচারি একলাটি সেইখানে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে রাস্তার ধারেই ঘুমিয়ে পড়ল।

মণ্টির যখন ঘুম ভেঙে গেল, সে জেগে উঠে দেখলে যে, তার সেই পুরোনো মায়ের কোলে সে শুয়ে রয়েছে। আহ্লাদে গদগদ হয়ে সে তার মার গলা জড়িয়ে ধরে বললে, মা তুমি এসেছ! এতদিন কোথায় ছিলে? তুমি আমার লক্ষ্মী-মা। নতুন মা দুষ্টু। আমি তোমার কাছে থাকবো।’

মণ্টির মা বললেন, ‘সেইজন্যেই তো তোমাকে আজ নিতে এসেছি। চল, তুমি আমার সঙ্গে চল।’

মণ্টি আনন্দে নাচতে নাচতে মার হাত ধরে এগিয়ে চল।

মার সঙ্গে গিয়ে মণ্টি ট্রামে উঠল। ট্রাম হ্যারিসন রোড দিয়ে বরাবর হাওড়ার দিকে চলল। হাওড়ার পুলের সামনে ট্রাম থেকে নেমে সে মার হাত ধরে হাওড়ার পুল পার হয়ে গেল। মণ্টি এর আগে আর কখনো হাওড়ার পুল দেখে নি। পায়ের নীচে গঙ্গার অগাধ জল। তার উপর এই প্রকাণ্ড পুল ভাসছে। পুলের ওপর দিয়ে যেতে যেতে মণ্টির খুব আহ্লাদ হচ্ছিল, আবার ভয়ও হতে লাগল, যদি পা ফসকে জলে পড়ে যায়, তা হলে নিশ্চয় ডুবে যাবে! সে মার খুব কাছে ঘেঁসে তাকে কত কথা জিজ্ঞাসা করতে করতে চলল। পুল পার হয়ে তারা হাওড়ার স্টেশনে এসে রেলগাড়ি চড়লে। রেলগাড়ি চড়ে মণ্টির কি ফুর্তি! রেলে চলতে চলতে রাত্রি হয়ে গেল! মণ্টির মা মণ্টিকে কত কি খাবার দাবার কিনে খাওয়ালেন। খেয়ে দেয়ে সে মার কোলটিতে মাথা রেখে শুয়ে গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ল।

ভোররাতে যখন মণ্টির ঘুম ভাঙ্গ তখন মায়ে পুয়ে তারা গরুর গাড়ী করে শুকপুর গ্রামের পথ দিয়ে চলেছে। মণ্টি জিজ্ঞাসা করলে, ‘মা, এ আমরা কোথায় যাচ্ছি?’

তার মা বললে, ‘তোমার মামার বাড়ীতে, এ জায়গাটার নাম শুকপুর। তোমাকে আমি তোমার দিদিমার কাছে নিয়ে যাচ্ছি।’

মণ্টির একথা শুনে ভারি আনন্দ হল। অনেকদিন সে দিদিমাকে দেখে নি। দিদিমা তাকে কত আদরযত্ন করবেন, কত ভালোবাসবেন। শুকপুরে সে নিশ্চয় সুখে থাকবে। সকালবেলা সূর্য ওঠবার আগেই তাদের গরুর গাড়ী একখানি সুন্দর পরিষ্কার কুটীরের সামনে এসে দাঁড়াল। মণ্টির মা মণ্টির হাত ধরে তাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে গরুর গাড়ীর গাড়োয়ানকে ভাড়া দিয়ে তাকে বিদেয় করে দিলেন। তারপর মণ্টিকে সেই কুটীরের বন্ধ দরজার কাছে ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘তোর দিদিমাকে ডাক, দরজা খুলে দেবেন। আমি ততক্ষণ ঐ পুকুর ঘাটে গিয়ে মুখ হাত পা ধুয়ে আসি।’

খোকার ডাকে তার দিদিমা এসে দরজা খুলে দিয়ে খোকাকে দেখে অবাক! বললেন, ‘একি! মণ্টি! তুই এমন সময় একলাটি এখানে কার সঙ্গে এলি?’

মণ্টি বলল, ‘কেন, আমি তো মার সঙ্গে এলুম!’

মণ্টির কথা শুনে দিদিমা চমকে উঠলেন, সে কি? খোকা এ কি বলছে? তার মা যে আজ এক বছর হতে চলল মারা গেছে। তবে ও কার সঙ্গে এলো? বোধ হয় ওর বাবা আবার যে বিয়ে করেছে সেই বউয়ের সঙ্গে এসেছে। তিনি মণ্টিকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করে বললেন, ‘ওঃ তুই বুঝি তোর নতুন মার সঙ্গে এসেছিস? কই সে মেয়ে কোথা গেল?’

মণ্টি সজোরে ঘাড় নেড়ে বললে, ‘না গো না, নতুন মা নয় দিদিমা, আমার মা! আমার নতুন মা বড় দুষ্টু, সে আমাকে আসতে দিতো না। আমার পুরোনো মা আমাকে নিয়ে এসেছে। মা আমাকে দরজা ঠেলে তোমাকে ডাকতে বলে। ওই সামনের পুকুরে হাতমুখ ধুতে গেছেন।’

মণ্টির দিদিমা কথাটা শুনে আশ্চর্য হয়ে বললেন, ‘কই কোন পুকুরে গেল চল তো দেখি।’

মণ্টি মহা উৎসাহে তার দিদিমাকে নিয়ে সেই পুকুর ঘাটে গিয়ে হাজির হলো। কিন্তু সেখানে কাউকেই দেখতে পাওয়া গেল না। তখন তার দিদিমা মনে করলেন, ছেলেমানুষ! মাকে হয় তো ঠিক চিনতে পারে নি, গ্রামের অন্য কোনও বউ-ঝিয়ের সঙ্গে এসেছে হয় তো! তাই বলছে মার সঙ্গে এসেছি। তিনি বললেন, ‘আচ্ছা, চল ঘরে চল, সে এখুনি আসবে বোধ হয়।’

দিদিমা শোবার ঘরে ঢুকে মণ্টি দেখলে দেওয়ালে তার মার একখানি বাঁধানো ফটোগ্রাফ ঝুলছে। মণ্টি বললে, ‘ঐ যে আমার মার ছবি রয়েছে, ও মাই তো আমায় নিয়ে এল।’

মণ্টির দিদিমা তার কথা শুনে অবাক! শেষে সমস্ত শুনে তিনি বললেন, ‘আহা! মেয়েটা মরেও ছেলের মায়া ভুলতে পারে নি! ছেলেটার সেখানে বড়ই কষ্ট হচ্ছে দেখে নিজে সঙ্গে করে এনে আমার কাছে দিয়ে গেল।’

এই ঘটনা নিয়ে গ্রামে একটা খুব হৈ চৈ পড়ে গেল। কেউ কেউ বললে, ‘ওটা আগাগোড়াই মিছে কথা। মণ্টির মা আজ প্রায় পনেরো মাস হলো মারা গেছেন, তিনি ওকে নিয়ে আসবেন কি করে? কিন্তু মণ্টির দিদিমা ব্যাপারটা ঠিক অবিশ্বাস করতে না পেরে, মণ্টির বাবাকে খবর দেওয়া উচিত ভেবে তাকে একখানা চিঠি পাঠিয়ে দিলেন। তার জবাব এলো যে, সত্যিই সেদিন মণ্টিকে মেরে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে বাড়ীর দোরগোড়াতেই দাঁড়িয়ে কাঁদছিল, কিন্তু ঘণ্টা খানেক পর তাকে আর দেখতে পাওয়া যায় নি। তারপর আজ তিনদিন হল তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আপনার চিঠি পেয়ে খোকার সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হলুম, কিন্তু মণ্টির মার সম্বন্ধে যা লিখেছেন, সেটা কি ঠিক? দিদিমা লিখলেন তার একটি বর্ণও মিথ্যে নয়, সত্যিই মণ্টির মার আত্মা তোমাদের কাছে ছেলের কষ্ট দেখতে না পেরে নিজে আবার পূর্বরূপ ধারণ করে তাকে ওখান থেকে এখানে এনে দিয়ে গেছে!

মণ্টির বাবা এ চিঠি পেয়ে মণ্টির নতুন মাকে বললে, ‘এ সব বাজে কথা। মানুষ মরে গেলে আর ফিরে আসে না। এ সব ঐ বুড়ির চালাকি!’

Anuprerona
Anupreronahttps://www.anuperona.com
Read your favourite literature free forever on our blogging platform.
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here


Most Popular

Recent Comments