
আফ্রিকার গ্রামগুলোতে জন্ম নেয়া শিশুদের মাত্র পাঁচ বছর বয়সে রাখালের দায়িত্ব নিতে হয়। আর মাঝের সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়টা তাদের কাটে ভেড়া আর গরু চরিয়ে। এরই ফাকে তারা খেলাধুলা করে, নদীতে সাঁতার কেটে, মাছ ধরে, পাহাড়ে উঠে, কোনো গাছের ডালে ঢিল মেরে মৌচাক ভাঙ্গে অথবা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে!
এমনই একদিন এক শিশুর দল দুপুরে একটা মজার খেলা বের করলো। এই খেলাটা হলো একটা গাধার পিঠে উঠতে হবে এবং গাধাটিকে গোটা মাঠ কোনা ঘেঁষে ঘুরিয়ে আনতে হবে। একে একে সবাই গাধার পিঠে উঠলো।
সবশেষ ছেলেটা গাধার পিঠে উঠেই গাধাকে আঘাত করলো সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
গাধাটা হয়ত পরিশ্রমের কারণে বিরক্ত আর ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। সে এদিক ওদিক যেতে লাগলো আর শেষে একটা কাঁটার ঝোপে গিয়ে ছেলেদের ফেলেই দিলো।
হাতে পিঠে মুখে কাঁটার দাগ নিয়ে ছেলেটা যখন উঠে দাঁড়ালো তখন তার লজ্জার সীমা রইলো না।অন্যান্য ছেলেরা তাকে দেখে হাসতেই লাগলো। আফ্রিকানদের আত্মসম্মানবোধ প্রচুর। গাধার পিঠ থেকে বন্ধুদের সামনে পড়ে যাওয়াটা আসলেই ভীষণ লজ্জার ব্যাপার।
এই লজ্জার কাছে হাত পায়ে পাওয়া আঘাতও কিছুই না।
এরপর ছেলেটি বুঝতে পারল অবলা প্রাণীটিকে তুচ্ছ মনে করে তাকে যে কষ্ট সে দিয়েছে, ঠিক সেভাবেই গাধাটিও তাকে তাচ্ছিল্য করে তাকে আঘাতটি ফিরিয়ে দিয়েছে।