Tuesday, August 26, 2025
Homeবাণী ও কথামিনি বাস - নরেন্দ্রনাথ মিত্র

মিনি বাস – নরেন্দ্রনাথ মিত্র

গুটি চার-পাঁচ মিনি বাস পার্কের কোণে দাঁড়িয়ে আছে। বাস স্ট্যান্ড জায়গা বদলাতে বদলাতে এখন এখানে চলে এসেছে। সীতেশ দু’পা এগিয়ে গিয়ে সামনে যে বাসটা দেখল সেটাতেই উঠতে যাচ্ছিল, বাসের ভিতর থেকে একটি তের-চোদ্দ বছরের ছেলে মুখ বাড়িয়ে বলল, ‘এটা নয় দাদা, এটা নয়। ওই পিছনেরটা যাবে। ছ’শো আট নম্বরে উঠুন।’

হাফ প্যান্ট পরা বাচ্চা ছেলে, মাথায় লম্বা লম্বা চুল। আয়েস করে সিগারেট টানছে ছেলেটা বোধ হয় ক্লিনারের কাজ করে।

একটু এগিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় বাসটায় উঠল সীতেশ। কিন্তু এই বাসটিরও ছাড়ার লক্ষণ নেই। ব্যাগ কাঁধে কন্ডাকটার ছেলেটি ড্রাইভারের সীটের বাঁদিকে যে লম্বা বেঞ্চটি আছে তাতে টান হয়ে শুয়ে পড়েছে। একজন প্যাসেঞ্জারকে উঠতে দেখেও সে একই ভাবে পড়ে রইল।

সীতেশ জিজ্ঞাসা করল, ‘এই বাসটা যাবে তো?’

ছেলেটি সংক্ষেপে জবাব দিল, ‘যাবে।’

সীতেশ জিজ্ঞাসা করল, ‘কখন যাবে?’

ছেলেটি বলল, ‘স্টার্টারকে জিজ্ঞেস করুন এইমাত্র একটা বাস ছেড়ে গেল। মিনিট পাঁচ-সাত দেরি হবে।’

একটু দূরে অল্পদিন হল একটা চায়ের দোকান বসেছে। সেখানে কয়েকটি ছেলে জটলা করছে। চা খাচ্ছে। ওই দলে বোধ হয় স্টার্টারও আছে। কিন্তু তাকে ডেকে কিছু জিজ্ঞাসা করবার মত উৎসাহ বোধ করল না সীতেশ।

বেলা একটা। এই সময় সব বাসই একটু দেরিতে দেরিতে ছাড়ো ইচ্ছা করলে সীতেশ এই বাস থেকে নেমে গিয়ে একটা প্রাইভেট বাস ধরতে পারে। আজকাল অনেক রুটের বাসই এই পথ দিয়ে যায় কিন্তু এখন কোন তাড়া নেই। উঠে যখন বসেছে আর নেমে গিয়ে কি হবে। পাঁচ সাত মিনিটের মধ্যে না হোক দশ মিনিটের মধ্যে তো ছাড়বেই।

মিনি বাসে সাধারণত ওঠেন। সীতেশা ভাড়া বড্ড বেশী সাধারণ বাসের চেয়ে চার-পাঁচ গুণ বেশি। যারা গোটা একটা ট্যাক্সিতে যায় কি শেয়ারে যাতায়াত করে তাদের পক্ষে কম। কিন্তু সীতেশের মত সাধারণ বাস-ট্রামের যাত্রীদের পক্ষে এই মিনি বাসে ওঠাও একটা বিলাসিতা তবু মাসের প্রথমে মাইনেটা হাতে পেয়ে একটু বিলাসিতা করতে কারই বা না ইচ্ছা হয়। বাজার খরচটা আপনিই বেড়ে যায় তখন কি আর হিসাব থাকে চতুর্থ সপ্তাহে টানাটানি পড়বে।

একটু হিসাব করে চলতে হয় বইকি সীতেশ গুপ্তকে। সংসারে পুরো মাসের আর্নিং মেম্বার সে একাই। বিধবা মা আছেন। আর আছে দুটি অনূঢ়া বোন। তারা বি.এ. পাস করে বসে আছে। চাকরিও হচ্ছে না। দেখতে সুশ্রী নয় বলে বিয়ের সম্বন্ধও তেমন আসছে না। তবে দাদাকে সাহায্য করার জন্য এদের চেষ্টার অন্ত নেই। ওরা টিউশনি করে, পার্টটাইমের কাজ তা যত কম মাইনেরই হোক, আর কম মেয়াদেরই হোক, পেলেই নিয়ে নেয়। ওদের কোন অভিমান নেই। সংসারে ব্যয় সংকোচের জন্যও যথাসাধ্য চেষ্টা করে চিত্রা আর রমা বোনেদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই সীতেশের

তবু মাসের শেষে মেজাজ যেন অকারণে কি সামান্য কারণে বিগড়ে যায়। স্বভাব খিটখিটে হয়ে ওঠো নিজের আচরণের কথা ভেবে তখন লজ্জিত হয় সীতেশা মা আর বোনদের সঙ্গে মিষ্টি করে কথা বলো সিনেমার টিকিট কিনে দিতে চায়।

আচার-ব্যবহারের এই বৈষম্য শুধু কি মাসের শেষ কটা দিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে? তা নয়। সারা মাসের মধ্যেই তা ছড়িয়ে থাকে। রাগটা দপ করে জ্বলে উঠে আবার খপ করে নিভেও যায়। কিন্তু সেই প্রজ্বলনের মুহূর্ত কটি বড় প্রখরা অসহায় তিনটি নারী প্রায় মৌনভাবে শীতের সেই ক্রোধের দীপ্তি সহ্য করে। কিন্তু মনে মনে সব সময়ই যে তারা সীতেশকে ক্ষমা করে তা নয়। তাদের মুখ দেখলেই বোঝা যায় তারা ভিতরে ভিতরে একটা প্রতিবাদ পুষে রেখেছে।

কিন্তু এখন মাসের এই প্রথম সপ্তাহে সীতেশের মন বেশ প্রসন্ন। সরকারী অফিসে আজ সেকেন্ড স্যাটারডের ছুটিা পুরনো বন্ধু রমেন আজ তাকে নিমন্ত্রণ করেছে তার অফিস ছুটি হবে বেলা দেড়টায়। দুজনে মিলে আজ সারাটা দিন একসঙ্গে কাটাবে। রেস্টুরেন্টে খাবে, গল্প করবে, চৌরঙ্গী পাড়ায় সিনেমা দেখবো ম্যাটিনি শো-তে নয়, হয় সন্ধ্যায় না হয় নাইট শো-তো।

মা আর বোনেদের কাছে বলেই এসেছে সীতেশ, ‘ফিরতে যদি রাত হয় চিন্তা কোরো না।’

রমেনও এখন পর্যন্ত বিয়েটিয়ে করেনি। তবে তার ওপর সংসারের এমন দায়দায়িত্ব চেপে নেই। বিয়ে না করাটা ওর খেয়ালখুশির ব্যাপার। ওর কথাবার্তার ধরনে মনে হয় ওর পছন্দমত মেয়ে ঠিক করাই আছে। যে কোন দিন বিয়ে করলেই হল।

মা মাঝে মাঝে সীতেশকে বলেন, ‘চিত্রা রমার কপালে বোধ হয় বিয়ে লেখা নেই। ওদের যা হয় হবে। তুই বিয়েটা করে নো’

সীতেশ মনে মনে হাসে। মা যে মা সেও ভদ্রতা করে ছেলের সঙ্গে নাকি সীতেশের মন পরীক্ষা করে দেখতে চায়?

স্টার্টার বাঁশী বাজিয়েছে। এবার বাসটা ছেড়ে দেবে। হঠাৎ ছুটতে ছুটতে একটি মেয়ে এসে মিনি বাসের ভিতরে ঢুকল। কন্ডাকটার তাকে সাগ্রহে দরজা খুলে দিয়েছে।

দেখেই ওকে চিনতে পারল সীতেশা না চিনবার কোন কারণ নেই। একসঙ্গে দু বছর এম.এ. পড়েছে—ফিলসফি নিয়ে পাস করেছে একই সঙ্গে। কিন্তু সে তো পাঁচ বছর আগেকার কথা।

এই পাঁচ বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সাধারণ স্বাভাবিক একটি পরিবর্তন রীণার বিয়ে হয়েছে। আগের চেয়ে একটু যেন পুষ্টাঙ্গী, তবু দেখতে খারাপ লাগে না। ওর ফর্সা রং আর লম্বা চেহারার সঙ্গে মানিয়ে যায়। শাঁখাসিঁদুরে ফিকে নীল রঙের শাড়িতে বেশ দেখাচ্ছে রীণাকে।

প্রথমে সীতেশকে ও বোধ হয় লক্ষ্য করেনি। নাকি দেখেও না দেখার ভান করেছে, কে জানে? পাশের বেঞ্চটায় বসতে যাচ্ছিল রীণা, অভিমান ত্যাগ করে সীতেশই ওকে ডাকল, ‘আরে এদিকে এস এই বেঞ্চে এস।’

রীণা একটু চমকে উঠে সীতেশের দিকে তাকাল। তারপর হেসে বলল, ‘ও তুমি! আমি দেখতেই পাইনি।’

সীতেশ বলল, না পাওয়ারই তো কথা।’

রীণা প্রতিবাদ করে বলল, ‘আহাহা, না পাওয়ার কথা মানে! তুমিই তো কোন সম্পর্ক রাখখানি!’

বাস চলতে শুরু করেছে। মোড় থেকে আরো দু-তিনজন প্যাসেঞ্জার উঠেছে।

সীতেশ বলল, বাসের ঝাঁকুনিতে পড়ে যাবে। কেলেঙ্কারি হবে একটা তাড়াতাড়ি বসে পড়ো।’ নিজে বাইরের দিকে বসে রীণাকে ভেতরের দিকে জানলার ধারে বসতে দিল সীতেশা

রীণা স্মিতমুখে তার পাশে গিয়ে বসল। কিন্তু মৃদু সমালোচনা করতে ছাড়ল না। হেসে বলল, ‘ফ্রন্ট সীট হলেও তোমার এই সীটটি কিন্তু ভাল নয়।’

রীণার হাতে লাল রঙের ভ্যানিটি ব্যাগ দুটি ঠোঁটও গাঢ় রক্তরঙে রঞ্জিতা রীণা চিরদিনই হেভি মেক-আপের পক্ষপাতী গনয়াগাঁটির শখও বেড়েছে। গলায় হারা এক হাতে বালা আর এক হাতে ঘড়ি। কানেও লাল পাথর-বসানো দুলা কপালের টিপটি নীলাভ শাড়ি আর হাতকাটা ব্লাউজের সঙ্গে ম্যাচ করা।

পাশেই বসেছে সীতেশের এককালের অন্তরঙ্গ সহপাঠিনী রীণা। আগেও যেমন বসত আজও তেমনি বসেছে। কিন্তু সীতেশের মনে হচ্ছে এই রীণা যেন আলাদা। শুধু পরস্ত্রীই নয়, যেন একটি ভিন্নগ্রহের অধিবাসিনী। আর সেইজন্যেই কি আকর্ষণ আর বিকর্ষণের এক মিশ্রিত অনুভূতি সীতেশের মন থেকে নড়তে চাইছে না!

এই পাড়ারই মেয়ে রীণা হাউসিং স্টেটে থাকে। মানে থাকত। এখন ওর বাবা মা এই পাইকপাড়াতেই আছেন। ও পাড়া বদল করে চলে গেছে বালিগঞ্জে।

সীতেশ বলল, ‘এখন যেন তোমার কী পদবী হয়েছে!’

রীণা বলল, ‘আহাহা, যেন জানো না!’

সীতেশ বলল, ‘শুনেছিলাম। ভুলে গেছি।‘

রীণা বলল, তাহলে আর মনে করিয়ে দেব না। নামটা মনে রাখলেই যথেষ্টা আর চেহারা–চিনতে পারার জন্যে।’

সীতেশ বলল, ‘নন্দী হয়েছ, তাই না? চাটুয্যে থেকে নন্দী!

রীণা হেসে বলল, ‘সবই তো মনে আছে দেখছি। তবে কেন অত ভান করছিলে?’

সীতেশ হেসে বলল, ‘বামুন থেকে কায়েতই যদি হতে পারলে, বৈদ্য হতে ক্ষতি কি ছিল?’

ভঙ্গিটা তামাশার।

রীণাও তেমনি কৌতুকের ভঙ্গিতে জবাব দিল, ‘হব বলে তো অপেক্ষা করে বসেছিলাম। হতে দিলে কই!’

সবই ঠাট্টা আর তামাশা। দুজনের মধ্যে যে বন্ধুত্ব ছিল তাতে গভীর প্রেম কি বিয়ের কোন প্রতিশ্রুতি ছিল না। না উচ্চারিত, না অনুচ্চারিত

পার্কের পাশ দিয়ে বিশেষ করে অর্কিড উদ্যানের কাছাকাছি এসে রাস্তাটা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। জায়গায় জায়গায় গর্তা বাস সেই গর্তের মধ্যে পড়ে আবার ওঠো টাল সামলাতে না পেরে রীণা বার বার তার গায়ে ঢলে পড়ছিল।

একবার বলল, ‘কী রাস্তাই না হয়েছে! তোমরা থাকো না এ পাড়ায়? একটা ব্যবস্থা করতে পার না?’

সীতেশ বলল, ‘আমরা কি ব্যবস্থাপক নাকি?’

এই সময় কন্ডাক্টর এসে টিকিট চাইল।

সীতেশ উঠে দাঁড়াল। ট্রাউজারের হিপপকেটে হাত দিয়ে ছোট একটা ব্যাগ বার করল। তারপর একখানা পাঁচ টাকার নোট বাড়িয়ে দিয়ে বলল, ‘একখানা এসপ্ল্যানেডা’

হঠাৎ তার খেয়াল হল সঙ্গে রীণাও রয়েছে। তাড়াতাড়ি শুধরে নিয়ে বলল, ‘আরে, তুমি কোথায় যাবে?

কিন্তু ততক্ষণে যা হবার তা হয়ে গেছে। রীণা তার ব্যাগ থেকে দশ টাকার নোটখানি বের করে ফেলেছে। পাঁচ টাকার নোটখানা কেড়ে নিয়ে তার হাতে দশ টাকার নোটখানা গুঁজে দিয়ে বলল, ‘একখানা না, দুখানা এসপ্ল্যানেড’ তারপরে সেই পাঁচ টাকার নোটখানা জোর করে ফেরত দিল সীতেশকে। সঙ্গে সঙ্গে এক টাকা পাঁচ পয়সার টিকিটখানাও।

সীতেশ বলল, ‘এ কী হল! তুমি কেন কাটতে গেলে!’

রীণা বলল, ‘তাতে কী হয়েছে! আগে আগে তুমি তো রোজই বাস ফেয়ার দিতে। ট্যাক্সি ফেয়ারও দিয়েছ দু-একদিন আজ না হয় আমিই দিলাম। সামান্য একখানা টিকিটই তো রেখে দাও।’

তার পর একটু হেসে সীতেশের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘আধ ঘণ্টার জন্যে থাকুক না হয় একটি সুভেনির।’

সীতেশ গম্ভীর হয়ে রইল। কী বলবে ভেবে পেল না।

কিন্তু সারাটা পথ কথা বলতে বলতে চলল রীণা নিজেদের ঘর-সংসারের কথা স্বামীর কথা শ্বশুর-শাশুড়ীর কথা। তাঁরা চান এখনই নাতি-নাতনীর মুখ দেখতে কিন্তু রীণা আর দিলীপের ইচ্ছা আরও দু-একটা বছর যাক। তাদের ডোভার লেনের বাড়িতে নিমন্ত্রণও করল সীতেশকে।

‘যেয়ো একদিন। তাড়াতাড়ি যেয়ো। কোথায় হঠাৎ বদলি করে দেবে তার তো ঠিক নেই।’

স্টেট ব্যাঙ্কের অফিসার গ্রেডে কাজ করে দিলীপা মোটা মাইনের চাকরি। এক ফাঁকে রীণা সে কথা শুনিয়েছে সীতেশকো।

কিন্তু সেই টিকিট কাটার পর কী যে হয়েছে সীতেশেরা পুরনো বান্ধবীর সঙ্গে কিছুতেই প্রাণ খুলে আলাপ করতে পারছে না।

নিতান্তই ভদ্রতা রক্ষার জন্যে, হ্যাঁ করে যাচ্ছে, কি, দু-একটা কথা জিজ্ঞাসা করছে।

শেষ পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে এসে দুজনেই নেমে পড়ল। নিউ মার্কেটে রীণার কি একটু দরকার আছে। সেটা সেরে বালিগঞ্জের বাসে উঠবে। সীতেশ যাবে তার বন্ধুর অফিসে। সেখানে সে সীতেশের জন্যে অপেক্ষা করছে।

হাসিমুখে বিদায় নিল, বিদায় দিল রীণা।

কিন্তু সীতেশ অমন করে হাসতে পারল কি?

তার কেবলই মনে হতে লাগল, ছি ছি ছি, রীণা কী ভাবল তার সম্বন্ধে? নিশ্চয়ই সে ভেবে নিল ছোট আর অনুদার হয়ে গেছে সীতেশের মনা অন্যের স্ত্রী হয়েছে বলে সীতেশ এখন তার জন্যে একটা টাকাও খরচ করতে রাজী নয়।

এই ভুলটা কেন হয়েছে তা ইতিমধ্যে ধরে ফেলেছে সীতেশা অফিসে যাওয়ার সময় সাধারণ বাসে কোন বন্ধু কি খুবই চেনা কোনো প্রতিবেশী উঠলে সীতেশ তার জন্যে টিকিট কাটে। কিন্তু মিনি বাসে তারাই যখন ফের ওঠে কেউ কারও জন্যে টিকিট কাটে না। কেউ তার প্রত্যাশাও করে না। একটা টাকাকে সবাই দাম দেয়।

এক্ষেত্রেও গোড়াতে সেই ভুল হয়েছিল।

কিন্তু রীণা কি আর সে কথা বিশ্বাস করবে?

[অস্বৰ্গত নরেন্দ্রনাথ মিত্রের এই গল্পটি তাঁর সর্বশেষ লেখা। এই লেখাটি নিয়ে তিনি কথাসাহিত্য অফিসে আসেন ১৯৭৫, ১৩ই সেপ্টেম্বর অপরাহ্নে। সেই দিনই রাত্রে অকস্মাৎ তাঁর মহাপ্রয়াণ ঘটে। এই একান্ত নিষ্ঠাবান সাহিত্যব্রতীর কাছে আমাদের ১৩৮২ সালের শারদীয়া সংখ্যা পৌঁছে দিতে পারা যায় নি—এই পরিতাপ আমাদের চিরস্থায়ী হয়ে আছে। কথাসাহিত্য সম্পাদক]

Anuprerona
Anupreronahttps://www.anuperona.com
Read your favourite literature free forever on our blogging platform.
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here


Most Popular

Recent Comments