
সক্রেটিস ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক। তিনি জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০ সনে । তার সৃষ্টি দার্শনিক চিন্তাধারা সংস্কৃতি, দর্শন ও সভ্যতাকে দীর্ঘ ২০০০ বছর ধরে প্রভাবিত করেছে। তিনি ছিলেন একজন মহান শিক্ষক। তার শিক্ষাদানের জন্য নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না। এমনকি তার শিষ্যদেরই শুধু শিক্ষাদান করেননি। তিনি যাকে ইচ্ছে যেকোন সময় মৌলিক শিক্ষা দানের চেষ্টা করতেন।
তাই এই মহান দার্শনিক সক্রেটিস এর উক্তি ও বাণী গুলো জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সঠিক পথ দেখাতে পারে। আসুন তাহলে জেনে নিই…
১। “নিজেকে জানতে হলে, নিজেকে নিয়ে চিন্তা করুন।”
– সক্রেটিস
২। “যৌবনকালে অর্ধেক খাও, আর অর্ধেক সঞ্চয় করো যৌবনের সঞ্চয় বৃদ্ধকালের অবলম্বন৷”
– সক্রেটিস
৩। “মিথ্যা কথাগুলি কেবল নিজের মধ্যেই মন্দ নয়, তারা আত্মাকে মন্দ দ্বারা সংক্রামিত করে।”
– সক্রেটিস
৪। “অন্যায় করে লজ্জিত না হওয়াটা আরেক অন্যায়।”
– সক্রেটিস
৫। “শৈশবে লজ্জা, যৌবনে তারসাম্য এবং বার্ধক্যে ব্যয়সংকোচন ও দুরদর্শিতার প্রয়োজন।”
– সক্রেটিস
৬। “নিজেকে উন্নয়নের জন্য অন্য মানুষের লেখালেখিতে কাজে লাগাও এই জন্য যে অন্য মানুষ কিসের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে তা তুমি যাতে সহজেই বুঝতে পারো।”
– সক্রেটিস
৭। ”একটি ভাল খ্যাতি অর্জনের উপায় হলো আপনি যা দেখতে চান তা হওয়ার চেষ্টা করা।”
– সক্রেটিস
৮। “যার টাকা আছে তার কাছে আইন খোলা আকাশের মত, আর যার টাকা নেই তার কাছে আইন মাকড়ষার জালের মত।”
– সক্রেটিস
৯। “আমাদের প্রার্থনা হওয়া উচিত সাধারণের ভালোর জন্য। শুধু ঈশ্বর জানেন কিসে আমাদের ভালো।”
– সক্রেটিস
১০। ”গভীর আকাঙ্ক্ষা থেকে প্রায়শই মারাত্মক ঘৃণা আসে।”
– সক্রেটিস
১১। “টাকার বিনিময়ে শিক্ষা অর্জনের চেয়ে অশিক্ষিত থাকা ভাল।”
– সক্রেটিস
১২। “আমি কাউকে কিছু শিক্ষা দিতে পারবো না, আমি শুধু তাদের চিন্তা করাতে পারবো।”
– সক্রেটিস
১৩। “নারী জগতে বিশৃঙ্খলা ও ভাঙ্গনের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস। সে বৃক্ষের ন্যায় যাহা বাহ্যত খুব সুন্দর দেখায়। কিন্তু চড়ুই পাখি ইহা ভক্ষণ করিলে ইহাদের মৃত্যু অনিবার্য।”
– সক্রেটিস
১৪। “যাই হোক বিয়ে করো। তোমার স্ত্রী ভাল হলে তুমি হবে সুখী, আর খারাপ হলে হবে দার্শনিক।”
– সক্রেটিস
১৫। “বন্ধু হচ্ছে দুটি হৃদয়ের একটি অভিন্ন মন।”
– সক্রেটিস
১৬। “বন্ধুত্ব করো ধীরে ধীরে, কিন্তু যখন বন্ধুত্ব হবে এটা দৃঢ় করো এবং স্থায়ী করো।”
– সক্রেটিস
১৭। “তুমি যা হতে চাও তা-ই হও।”
– সক্রেটিস
১৮। “শক্ত মন আলোচনা করে ধারনা নিয়ে, গড়পড়তা মন আলোচনা করে ঘটনা নিয়ে, দুর্বল মন আলোচনা করে মানুষ নিয়ে।”
– সক্রেটিস
১৯। “তারা জানে না যে তারা জানে না, আমি জানি যে আমি কিছু জানি না।”
– সক্রেটিস
২০। “সুখ্যাতি অর্জনের উপায় হল তুমি কি হিসেবে আবির্ভূত হতে চাও তার উপক্রম হওয়া।”
– সক্রেটিস
২১। “যে সৎ ব্যক্তি অসৎ ব্যক্তির পিছনে ঘুরে বেড়ায়, সে সত্যিই করুণার পাত্র।”
– সক্রেটিস
২২। “সত্যপ্রীতি বিজ্ঞতার লক্ষন।”
– সক্রেটিস
২৩। “একজন সৎ ব্যক্তি সবসময় একজন শিশুর মতন হয়৷”
– সক্রেটিস
২৪। “অপরীক্ষিত জীবনের কোনো অর্থ নেই।”
– সক্রেটিস
২৫। “মৃত্যুই হল মানুষের সর্বাপেক্ষা বড় আশীর্বাদ।”
– সক্রেটিস
২৬। “মৃত্যুর চেয়ে কঠিন হচ্ছে জীবন। কেননা দুঃখ-কষ্ট বিপদ আপদ কেবল জীবনেই ভোগ করতে হয় মৃত্যু তা থেকে মুক্তি দেয়।”
– সক্রেটিস
২৭। “ব্যস্ত জীবনের অনুর্বরতা সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।”
– সক্রেটিস
২৮। ”জীবন নয়, বরং ভাল জীবনই মূলত মূল্যবান হয়।”
– সক্রেটিস
২৯। “অপরীক্ষিত জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা গ্লানিকর।”
– সক্রেটিস
৩০। “সেই সাহসী যে পালিয়ে না গিয়ে তার দায়িত্বে থাকে এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।”
– সক্রেটিস
৩১। “নিজেকে জানো।”
-সক্রেটিস
৩২। “পোষাক হলো বাইরের আবরণ, মানুষের আসল সৌন্দর্য হচ্ছে তার জ্ঞান।”
– সক্রেটিস
৩৩। “সত্যিকারের জ্ঞান আমাদের সবার কাছেই আসে, যখন আমরা বুঝতে পারি যে আমরা আমাদের জীবন, আমাদের নিজেদের সম্পর্কে এবং আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তার সম্পর্কে কত কম জানি।”
– সক্রেটিস
৩৪। “আত্মার উন্নয়ন না করে শারীরিক সুস্থতা অর্থহীন। জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে আত্মার উন্নয়ন সাধনই মানুষের প্রথম ও প্রধান কাজ।”
– সক্রেটিস
৩৫। “জ্ঞানের শিক্ষকের কাজ হচ্ছে কোনো ব্যক্তিকে প্রশ্ন করে তার কাছ থেকে উত্তর জেনে দেখানো যে জ্ঞানটা তার মধ্যেই ছিল।”
– সক্রেটিস
৩৬। “পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটি-ই ভাল আছে, জ্ঞান। আর একটি-ই খারাপ আছে, অজ্ঞতা।”
– সক্রেটিস
৩৭। “প্রকৃত জ্ঞান নিজেকে জানার মধ্যে অন্য কিছু জানার মধ্যে নয়।”
– সক্রেটিস
৩৮। “তুমি কিছুই জানো না এটা জানা-ই জ্ঞানের আসল মানে।”
– সক্রেটিস
৩৯। “সত্যিকারের জ্ঞানী হবার প্রক্রিয়াটি তখনই শুরু হবে যখন আপনি জানবেন যে আপনি কিছুই জানেন না।”
– সক্রেটিস
৪০। “কঠিন যুদ্ধেও সবার প্রতি দয়ালু হও।”
– সক্রেটিস
সর্বশেষ কথা :- আপনি সক্রেটিস এর বিখ্যাত বাণী ও উক্তি সমূহ গুলি সংগ্রহ করতে পারেন যা আপনার জীবনের চিন্তাভাবনাকে বদলে দিতে পারে আর আপনার ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
আপনার শেয়ার ভবিষ্যতে আমাদের এই ধরণের লেখা লিখতে আরও বেশি করে উৎসাহিত করবে।