Friday, April 26, 2024
Homeআরওলাইফস্টাইলক্রেডিট কার্ড হোল্ডারদের রিটার্ন বাধ্যতামূলক নয়

ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারদের রিটার্ন বাধ্যতামূলক নয়

credit card

চলতি অর্থবছর থেকে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) সবাইকে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। মাত্র তিন ধরনের টিআইএনধারীর রিটার্ন না দিলেও চলবে।

  • এ বছর থেকে সব টিআইএনধারীর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক। তবে করযোগ্য আয় না থাকলে ক্রেডিট কার্ডধারী ও জমি বিক্রেতার রিটার্ন দিতে হবে না।
  • এনবিআর বলছে, শুধু ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য ১২ সংখ্যার টিআইএন নেওয়ার পরও যদি ওই করদাতার করযোগ্য আয় (বার্ষিক তিন লাখ টাকা) না থাকে, তবে তাঁকে রিটার্ন দিতে হবে না।
  • গত জুন মাস পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৭টি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু হয়েছে।

ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড এখন শহুরে আধুনিক জীবনের প্রায় অংশ হয়ে গেছে। ক্রেডিট কার্ড নিতে টিআইএন লাগে। টিআইএন ছাড়া ক্রেডিট কার্ড মিলবে না। শুধু ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য আপনি টিআইএন নিলেন। ক্রেডিট কার্ডে নিয়মিত বাজারসদাই করেন। আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ডধারীদের সবাইকে বছর শেষে রিটার্ন দাখিল করার কথা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, শুধু ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য ১২ সংখ্যার টিআইএন নেওয়ার পরও যদি ওই করদাতার করযোগ্য আয় (বার্ষিক তিন লাখ টাকা) না থাকে, তবে তাঁকে রিটার্ন দিতে হবে না। ১ সেপ্টেম্বর এনবিআর প্রকাশিত চলতি বছরের আয়কর নির্দেশিকায় বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।

এখন জমি বেচাকেনা করতে টিআইএন লাগে। প্রত্যন্ত গ্রামের গরিব কৃষকও যদি নিজের এক খণ্ড জমি বিক্রি করতে চান, তাহলে করযোগ্য আয় না থাকলেও টিআইএন নিতে হবে। এমন গরিব টিআইএনধারীদের জন্য সুখবর দিল এনবিআর। যদি শুধু জমি বিক্রি করার জন্য টিআইএন নেওয়া হলে এবং তাঁর কোনো করযোগ্য আয় না থাকলে রিটার্ন দিতে হবে না। এ ছাড়া অনাবাসী করদাতার যদি বাংলাদেশে স্থায়ী সম্পদ (ফিক্সড বেজ) না থাকে, তাহলে রিটার্ন দিতে হবে না।

চলতি অর্থবছর থেকে তিন লাখ টাকার বেশি আয় হলেই কর দিতে হবে। আর টিআইএন থাকলে রিটার্ন দিতে হবে। আগের তিন বছরের কোনো এক বছরে করযোগ্য থাকলেও রিটার্ন দিতে হবে। তারপরও কিছু বিশেষ শ্রেণির করদাতার ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক, তা বলে দিয়েছে এনবিআর। সর্বশেষ চলতি অর্থবছরে এই তালিকায় কয়েক ধরনের করদাতা যুক্ত হয়েছেন।

লাইসেন্সধারী অস্ত্রের মালিককে এখন থেকে বছর শেষে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়ে রিটার্ন দিতে হবে। আবার আপনি নিজের গাড়ি উবার-পাঠাওয়ের মতো রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকলেও রিটার্ন দিতে হবে। এ ছাড়া আবাসন, বাণিজ্যিক স্পেস বা অন্য কোনো সম্পদের মাধ্যমে অংশভাগী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে (শেয়ারড ইকোনমিক অ্যাক্টিভিটি) যুক্ত থাকলেও রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক।

রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক এমন করদাতাদের তালিকায় পেশাজীবীর পাশাপাশি ব্যবসায়ীও আছেন। ওই তালিকায় থাকা পেশাজীবীদের মধ্যে অন্যতম হলো কোম্পানির পরিচালক, ফার্মের অংশীদার, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী (যাঁদের মূল বেতন ১৬ হাজার টাকার বেশি), প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদধারী; গাড়ির মালিক, ট্রেড লাইসেন্সধারী, অভিজাত ক্লাবের সদস্য, চিকিৎসক, আইনজীবী, সনদধারী হিসাববিদ, প্রকৌশলী, স্থপতি, আয়কর আইনজীবী, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের কোনো পদে বা সংসদ সদস্য পদের প্রার্থী, ঠিকাদার।

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের রিটার্ন দেওয়ার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। ওই সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানার বিধান আছে। অবশ্য সময় বাড়িয়ে বিলম্ব সুদ দিয়ে রিটার্ন জমা দেওয়া সম্ভব।

[ তথ্য সূত্র : বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ড ও  প্রথম আলো ]

Anuprerona
Anupreronahttps://www.anuperona.com
Read your favourite literature free forever on our blogging platform.
RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments