হাউই (নাটক) - সত্যজিৎ রায়

হাউই (নাটক) – সত্যজিৎ রায়

জয়ন্ত নন্দী : ছোটদের পত্রিকা হাউই-এর সম্পাদক তরুণ সান্যাল : জয়ন্তর বন্ধু তিনকড়ি ধাড়া : হাউই-এর দপ্তরের কর্মচারী। কাজ–বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করা তন্ময় সেনগুপ্ত : লেখক মুকুল : দপ্তরের কর্মচারী ধনঞ্জয়/আলম : দপ্তরের…

শিশু সাহিত্যিক - সত্যজিৎ রায়

শিশু সাহিত্যিক – সত্যজিৎ রায়

ছোটদের মাসিক পত্রিকা বহুরূপী এক বছর হল বেরোচ্ছে। সম্পাদক সুপ্রকাশ সেনগুপ্ত আপ্রাণ চেষ্টা করেন কাগজটাকে ভাল করতে। টাকার জোর নেই, তাই কাজটা সহজ নয়। গ্রাহক সংখ্যা দেড় হাজারের মতো; বিজ্ঞাপন যা আসে…


ঈশ্বরের ন লক্ষ কোটি নাম - সত্যজিৎ রায়

ঈশ্বরের ন লক্ষ কোটি নাম – সত্যজিৎ রায়

আপনাদের অর্ডারটা একটু অস্বাভাবিক ধরনের, বিস্ময়ের মাত্রাটা যথাসম্ভব কমিয়ে বললেন ডাঃ ওয়াগনার–আমি যতদূর জানি, এর আগে কোনও তিব্বতি গুম্ফা থেকে অটোমেটিক সিকুয়েন্স কম্পিউটারের জন্য অর্ডার আসেনি। আপনাদের ঠিক এই ধরনের মেশিনের প্রয়োজন…

মঙ্গলই স্বর্গ - সত্যজিৎ রায়

মঙ্গলই স্বর্গ – সত্যজিৎ রায়

মহাকাশ থেকে রকেটটা নেমে আসছে তার গন্তব্যস্থলের দিকে। এত দিন সেটা ছিল তারায় ভরা নিঃশব্দ নিকষ কালো মহাশূন্যে একটি বেগবান ধাতব উজ্জ্বলতা। অগ্নিগর্ভ রকেটটা নতুন। এর দেহ থেকে নিঃসৃত হচ্ছে উত্তাপ। এর…

ভক্ত - সত্যজিৎ রায়

ভক্ত – সত্যজিৎ রায়

অরূপবাবু–অরূপরতন সরকার–পুরী এসেছেন এগারো বছর পরে। শহরে কিছু কিছু পরিবর্তন চোখে পড়েছে–কিছু নতুন বাড়ি, নতুন করে বাঁধানো কয়েকটা রাস্তা, দু-চারটে ছোট-বড় নতুন হোটেল–কিন্তু সমুদ্রের ধারটায় এসে বুঝতে পারলেন এ জিনিস বদলাবার নয়।…

লখনৌর ডুয়েল - সত্যজিৎ রায়

লখনৌর ডুয়েল – সত্যজিৎ রায়

ডুয়েল মানে জানিস? জিজ্ঞেস করলেন তারিণীখুড়ো। বাঃ, ডুয়েল মানে জানব না? বলল ন্যাপলা। ডুয়েল রোল, মানে দ্বৈত ভূমিকা। সন্তোষ দত্ত গুপী গাইনে ডুয়েল রোল করেছিলেন–হাল্লার রাজা, শুণ্ডীর রাজা। সে ডুয়েলের কথা বলছি…

ম্যাকেঞ্জি ফ্রুট - সত্যজিৎ রায়

ম্যাকেঞ্জি ফ্রুট – সত্যজিৎ রায়

ম্যাকেঞ্জি সাহেবের বাগানে আশ্চর্য গাছটা আবিষ্কার করলেন নিশিকান্তবাবু। সাহেব যে গাছপালা ভালবাসতেন সেটা করিমগঞ্জে এসেই শুনেছিলেন নিশিকান্তবাবু৷ ভারত স্বাধীন হবার বছর সাতেকের মধ্যেই সাহেব অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর দেশে ফিরে যান। তারপর থেকে এই…

দুই বন্ধু - সত্যজিৎ রায়

দুই বন্ধু – সত্যজিৎ রায়

মহিম বাঁ হাতের কবজি ঘুরিয়ে হাতের ঘড়িটার দিকে এক ঝলক দৃষ্টি দিল। বারোটা বাজতে সাত। কোয়ার্টজ ঘড়ি–সময় ভুল হবে না। সে কিছুক্ষণ থেকেই তার বুকের মধ্যে একটা স্পন্দন অনুভব করছে, যেটা অত্যন্ত…

সত্যজিৎ রায়

রতন আর লক্ষ্মী – সত্যজিৎ রায়

ঠিক কখন থেকে রতনের মনটা খুশিতে ভরে আছে সেটা রতন জানে। দশদিন আগে ছিল চৈত্র সংক্রান্তি। রতন থাকে শিমুলিতে। সেখান থেকে চার ক্রোশ দূরে উজলপুরে সংক্রান্তির খুব বড় মেলা হয়। রতন গিয়েছিল…

নীল আতঙ্ক - সত্যজিৎ রায়

নীল আতঙ্ক – সত্যজিৎ রায়

আমার নাম অনিরুদ্ধ বোস। আমার বয়স উনত্রিশ। এখনও বিয়ে করিনি। আজ আট বছর হল আমি কলকাতার একটা সদাগরি আপিসে চাকরি করছি। মাইনে যা পাই তাতে একা মানুষের দিব্যি চলে যায়। সর্দার শঙ্কর…

অনুকূল - সত্যজিৎ রায়

অনুকূল – সত্যজিৎ রায়

এর একটা নাম আছে তো? নিকুঞ্জবাবু জিজ্ঞেস করলেন। আজ্ঞে হ্যাঁ, আছে বইকী! কী বলে ডাকব? অনুকূল। চৌরঙ্গিতে রোবট সাপ্লাই এজেন্সির দোকানটা খুলেছে মাস ছয়েক হল। নিকুঞ্জবাবুর অনেকদিনের শখ একটা যান্ত্রিক চাকর রাখেন।…

ব্রেজিলের কালো বাঘ - সত্যজিৎ রায়

ব্রেজিলের কালো বাঘ – সত্যজিৎ রায়

মেজাজটা বনেদি, প্রত্যাশা অসীম, অভিজাত বংশের রক্ত বইছে ধমনীতে, অথচ পকেটে পয়সা নেই, রোজগারের কোনও রাস্তা নেই–একজন যুবকের পক্ষে এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে? আমার বাবা ছিলেন সহজ, সরল মানুষ।…