
ঘাটশিলার শান্তিঠাকুর বলেছিলেন আমায় গল্পটা… ভারি মজার গল্প।দারুণ এক দুরন্ত ছেলের কাহিনী… যত রাজ্যের দুষ্টবুদ্ধি খেলত ওর মাথায়। মুক্তিপদ ছিল তার নাম, আর দুষ্টুমিরাও যেন পদে-পদে মুক্তি পেত ওর থেকে। আর হাতে-হাতে…

অ্যামবুলেন্স চাপা পড়ার মত বরাত বুঝি আর হয় না। মোটর চাপাপড়া গেল অথচ অ্যামবুলেন্স আসার জন্য তর সইতে হলো না–যাতে চাপা পড়লাম তাতেই চেপে হাসপাতালে চলে গেলাম। এর চেয়ে মজা কি আছে?…

হাম কিংবা টাইফয়েড, সর্পাঘাত কিংবা মোটরচাপা, জলে-ডোবা কিংবা গাছ থেকে পড়ে যাওয়া, এগজামিনে ফেল-করা কিংবা কাঁকড়াবিছে কামড়ানো—জন্মাবার পর এর কোনোটা-না-কোনোটা কারও-না-কারও বরাতে কখনো-না-কখনো একবার ঘটেই। অবশ্য যে মোটর চাপা পড়ে তার সর্পাঘাত…

ইঁদুর অর্চনার রেয়াজ এদেশে নেই, কিন্তু সিদ্ধিদাতার বাহন শ্ৰীমান মূষিকও কিছু কম সিদ্ধিপ্রদ নন – উৎসর এই কাহিনী থেকে আমরা জানতে পাব। এমনকি অতঃপর ইঁদুরকে নিয়ে একেবাবে বারোয়ারি সার্বজনীনের চল না হলেও…

সীতানাথবাবু ছিলেন সেকেন্ড পন্ডিত, বাংলা পড়াতেন। ভাষার দিকে তাঁর দৃষ্টি একটুও ভাসা-ভাসা ছিল না-ছিল বেশ প্রখর। ছেলেদের লেখার মধ্যে গুরুচন্ডালী তিনি মোটেই সইতে পারতেন না। সপ্তাহের একটা ঘণ্টা ছিল ছেলেদের রচনার জন্যে…

বিশ্বেশ্বরবাবু সবেমাত্র সকালে কাগজ খুলে বিশ্বের ব্যাপারে মনযোগ দেবার চেষ্টা পাচ্ছেন, এমন সময়ে বিশ্বেশ্বর-গৃহিণী হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসেন। ‘ওগো সর্বনাশ হয়েছে—!’ বিশ্বজগৎ থেকে তার বিনীত দৃষ্টিকে অপসারিত করেন বিশ্বেশ্বরবাবু। চোখ তুলে তাকান…

বাজার মন্দা মানেই বরাত মন্দ। কালীকেষ্টর পড়তা খারাপ পড়েছে। ট্যাঁক খালি—কয়েক হপ্তার থেকে টাকার আমদানি নেই। আধুলিটা সিকিটাও আসছে না। খদ্দেরের দেখা নেইকো, টাকাওয়ালা দূরে থাক, একটা টাকওয়ালা পর্যন্ত টিকি দেখায় না।…

বেশ কিছুদিন আগেকার কথা। গত শতাব্দীর শেষের দিকে, তখনও তোমরা আসনি পৃথিবীতে। আমিও আসব কি না তখনও আন্দাজ করে উঠতে পারছিলাম না। সেই সময়ে বারাসতে এই অদ্ভুত ঘটনাটা ঘটেছিল। অবশ্য তারপর আমিও…

প্রেমের দাঁত সব জায়গায় সহজে বসে না, কিন্তু একবার বসলে আর রক্ষে নেই! ঐরাবত ব্যতীতও—হস্তিনাপুরীর বাইরেও—দাঁতালো প্রেম দেখা দিতে পারে। মঞ্জুলা একেবারে গালে হাত দিয়েই হাজির!—‘ডলিদি যে এ কাজ করতে পারেন, আমি…

মাঝরাতে টুসির দাদুর পেট-ব্যাথাটা খুব-জোর চাগাড় দিয়ে উঠলো। দুহাতে পেট আঁকড়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লে তিনি–এই কলিক। এতেই প্রাণ তার লিক করে বুঝি এক্ষুনিই। তার মর্মান্তিক হাঁকডাক শুরু হয়–টুসি টুসি। টুসি ঘুমোচ্ছিল পাশের…

আমার পাশের বাড়ির রাজীবরা খাসা লোক! ও, ওর দাদা, বাবা, ওরা সব্বাই। কিন্তু লোক ভালো হলে কী হবে, মনের ভাব ওরা ঠিকমতন প্রকাশ করতে পারে না। সেটা আমাদের ভাষার গোলমালে, কি ওদের…