রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোট গল্প | Rabindranath Tagore Books

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার, চিত্রশিল্পী, সংগীতস্রষ্টা, অভিনেতা, কন্ঠশিল্পী, কবি, সমাজ-সংস্কারক এবং দার্শনিক। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে ১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ…

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা

রাজটিকা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নবেন্দুশেখরের সহিত অরুণলেখার যখন বিবাহ হইল তখন হোমধূমের অন্তরাল হইতে ভগবান প্রজাপতি ঈষৎ একটু হাস্য করিলেন। হায়, প্রজাপতির পক্ষে যাহা খেলা আমাদের পক্ষে তাহা সকল সময়ে কৌতুকের নহে। নবেন্দুশেখরের পিতা পূর্ণেন্দুশেখর ইংরাজরাজ-সরকারে…


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা

যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এক সময় যজ্ঞেশ্বরের অবস্থা ভালোই ছিল । এখন প্রাচীন ভাঙা কোঠাবাড়িটাকে সাপ – ব্যাঙ-বাদুড়ের হস্তে সমর্পণ করিয়া খোড়ো ঘরে ভগবদগীতা লইয়া কালযাপন করিতেছেন । এগারো বৎসর পূর্বে তাঁহার মেয়েটি যখন জন্মিয়াছিল তখন…

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা

মুক্তির উপায় – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ফকিরচাঁদ বাল্যকাল হইতেই গম্ভীরপ্রকৃতি। বৃদ্ধসমাজে তাহাকে কখনোই বেমানান দেখাইত না। ঠাণ্ডা জল, হিম এবং হাস্যপরিহাস তাহার একেবারে সহ্য হইত না। একে গম্ভীর, তাহাতে বৎসরের মধ্যে অধিকাংশ সময়েই মুখমণ্ডলের চারি দিকে কালো পশমের…

অনধিকার প্রবেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পুত্রযজ্ঞ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বৈদ্যনাথ গ্রামের মধ্যে বিজ্ঞ ছিলেন সেইজন্য তিনি ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া বর্তমানের সমস্ত কাজ করিতেন। যখন বিবাহ করিলেন তখন তিনি বর্তমান নববধূর অপেক্ষা ভাবী নবকুমারের মুখ স্পষ্টতররূপে দেখিতে পাইয়াছিলেন। শুভদৃষ্টির সময় এতটা…

অনধিকার প্রবেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পাত্র ও পাত্রী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ইতিপূর্বে প্রজাপতি কখনো আমার কপালে বসেন নি বটে, কিন্তু একবার আমার মানসপদ্মে বসেছিলেন। তখন আমার বয়স ষোলো। তার পরে, কাঁচা ঘুমে চমক লাগিয়ে দিলে যেমন ঘুম আর আসতে চায় না, আমার সেই…

অনধিকার প্রবেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দুরাশা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দার্জিলিঙে গিয়া দেখিলাম, মেঘে বৃষ্টিতে দশ দিক আচ্ছন্ন। ঘরের বাহির হইতে ইচ্ছা হয় না, ঘরের মধ্যে থাকিতে আরো অনিচ্ছা জন্মে। হোটেলে প্রাতঃকালের আহার সমাধা করিয়া পায়ে মোটা বুট এবং আপাদমস্তক ম্যাকিন্টশ পরিয়া…

অনধিকার প্রবেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ত্যাগ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ফাল্গুনের প্রথম পূর্ণিমায় আম্রমুকুলের গন্ধ লইয়া নব বসন্তের বাতাস বহিতেছে। পুষ্করিণীতীরের একটি পুরাতন লিচু গাছের ঘন পল্লবের মধ্য হইতে একটি নিদ্রাহীন অশ্রান্ত পাপিয়ার গান মুখুজ্জেদের বাড়ির একটি নিদ্রাহীন শয়নগৃহের মধ্যে গিয়া প্রবেশ…

অনধিকার প্রবেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

জীবিত ও মৃত – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রানীহাটের জমিদার শারদাশংকরবাবুদের বাড়ির বিধবা বধূটির পিতৃকুলে কেহ ছিল না; সকলেই একে একে মারা গিয়াছে। পতিকুলেও ঠিক আপনার বলিতে কেহ নাই, পতিও নাই পুত্রও নাই। একটি ভাশুরপো, শারদাশংকরের ছোটো ছেলেটি, সেই তাহার…

অনধিকার প্রবেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

জয়পরাজয় – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রাজকন্যার নাম অপরাজিতা। উদয়নারায়ণের সভাকবি শেখর তাঁহাকে কখনো চক্ষেও দেখেন নাই। কিন্তু যে দিন কোনো নূতন কাব্য রচনা করিয়া সভাতলে বসিয়া রাজাকে শুনাইতেন সে দিন কণ্ঠস্বর ঠিক এতটা উচ্চ করিয়া পড়িতেন যাহাতে…


অনধিকার প্রবেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চিত্রকর – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ময়মনসিংহ ইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে আমাদের গোবিন্দ এল কলকাতায় । বিধবা মায়ের অল্প কিছু সম্বল ছিল । কিন্তু , সব চেয়ে তার বড়ো সম্বল ছিল নিজের অবিচলিত সংকল্পের মধ্যে । সে…

অনধিকার প্রবেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঘাটের কথা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পাষাণে ঘটনা যদি অঙ্কিত হইত তবে কতদিনকার কত কথা সোপানে সোপানে পাঠ করিতে পারিতে। পুরাতন কথা যদি শুনিতে চাও তবে আমার এই ধাপে বইস ; মনোযোগ দিয়া জলকল্লোলে কান পাতিয়া থাকো, বহুদিনকার…