
দৈ গাঁয়ের রমণ ডাক্তারের কথা এর আগেও দু’একবার বলেছি। একেবারে পল্লী অঞ্চল। লাল মাটি, শালবনের দেশ। অবশ্য শালবন এখন আর নেই। এখন সেখানে ইউক্যালিপটাস জঙ্গল। পাঁচ ছয় বছরই এই সব গাছ ভাল দামে বিক্রি হয়। গ্রামগুলোতে স্বাধীনতার পর একটা প্রাইমারি স্কুল হয়েছে। পঞ্চায়েতের বাবুদের দয়ায় কোথাও কিছু পথঘাটও হয়েছে। রাজনীতির মারপ্যাচ দলবাজি-মারপিট এসবও বেড়েছে। মাঝে মাঝে দু’একটা খুনের ঘটনাও ঘটে। লোকদের হাতে, অন্তত পঞ্চায়েতের নেতাদের-গ্রামীণ সমাজের রূপটাও বদলেছে। কিছু মানুষের সদর্থক পদচারণাও চলে এখন গ্রাম-সমাজে।
আর একটা জিনিস প্রায় মুছেই গেছে। সেটা হল গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। দু’একটা তৈরি হয়েছিল এই অঞ্চল। জগন্নাথপুরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র তো ছিল বেশ বড়সড়–ওখানে কিছু রোগীও থাকতে পারত, আহার ওষুধ পেত। দুজন এমবিবিএস ডাক্তারও ছিলেন। দূর এই পল্লী অঞ্চলের মানুষ তবু চিকিৎসা কিছু পেত। গ্রামের বাইরে অনেকটা জায়গা নিয়ে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে উঠেছিল।
দৈগাঁয়ের পাশেই জগন্নাথপূর। দইগ্রাম এই অঞ্চলের মধ্যে বেশ বড় আর সমৃদ্ধ গ্রাম। এই গায়ে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। মায় এখানে রয়ে গেছে বেশ কয়েকজন হাতুড়ে ডাক্তার। আর একজন কবিরাজও আছে। ওই ডাক্তাররা অবশ্য তেমন ডিগ্রিধারী নয়। এরা এলোপ্যাথি-হোমিওপ্যাথি-কবিরাজি সব ধারাতেই চিকিৎসা করে রোগীকে সারিয়ে তোলে। ওদের দিনকাল ভালোই চলছিল। কারণ ওই ছড়ানো ছিটানো গ্রামে ডাক্তার বলতে তারাই। স্বাস্থ্যকেন্দ্র হবার
আগে তাদের রোজগার ভাল ছিল। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র হবার পর তারা মুষড়ে পড়ে।
রমণ ডাক্তার তখন এখানে নতুন এসেছে। তরুণ একটি ছেলে। সে নাকি একজন সিভিল সার্জনের সহকর্মীই ছিল। তার আগে শহরের কোনও নামী ডাক্তারের কাছে ছিল। সেখানে অনেক মেজর অপারেশন করেছে। রমণ ডাক্তারের বরাতজোরেই পাঁচ ছ বছরের পর রাজ্যে এল নতুন শাসক দল। এবার নাকি পঞ্চায়েতের দিন বদলাবে। গাঁয়ের নিতাইবাবু বলেন,-এ তোমাদের বন্ধু সরকার হে–
অবশ্য দেখা গেল, বছর খানেক ঘুরতে না ঘুরতেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দরজা বন্ধ হয়ে গেল। লোকজন, ডাক্তারও চলে গেল কোথায়। ওষুধ নেই-পথ্য নেই-ডাক্তার নেই। পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দরজা-জানলাও কারা খুলে নিয়ে চলে গেল, আর গ্রামের বাইরে সেই স্বাস্থাকেন্দ্র এখন রাতের অন্ধকারে চোলাই মদের ডেরাতে পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র চলে যায় সমাজবিরোধীদের দখলে। উঠানে হাঁটু অবধি ঘাস গজিয়েছে।
ফলে রমণ ডাক্তারদেরই সুবিধা হয়েছে। দেশের মানুষের রোগব্যাধি তো থাকবেই। তখন আসত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এখন বাধ্য হয়ে আসে এইসব ডাক্তারদের কাছে। দৈ গাঁয়ের বামুন পাড়ার একটা দোতলা ঘর ভাড়া করে রয়েছে রমণ। আর ওই বাড়ির রকে একটা বেদি বানিয়ে তার উপর শতরঞ্চি পেতে বসে রমণ ডাক্তার। পাশে দুটো ওষুধের বাক্স। একটাতে এ্যালোপাথি ওষুধ, ইঞ্জেকশনের সিরিজ ইত্যাদি। আর অন্যটাতে ছোট ছোট শিশির সার। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র উঠে যেতে রমণ ডাক্তার বলে, আরে যেখানে দুনীতি ঢোকে, সেখানে আর কিছুই থাকবে না। তাই দেখলাম এসব লোকের সর্বনাশ করার খেলাও শেষ হবে। হলও তাই। ঈশ্বর যা করেন তা মঙ্গলের জন্য হে। ওখানে কি চিকিৎসা হত?
ডাক্তারদের পকেটই ভরনো হত। তাদের দলকে এই ডোজ দেওয়া হল বলে এইসা ভোজ দেওয়া
হল যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রই সরে গেল। আর বাবু আমার দাওয়াইতে হয় সারবে না হয় সরে যাবে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উঠে গেছে নাকি রমণের একডোজে। যে কারণেই হোক ওইসব হাতুড়ে ডাক্তার-কবিরাজদের ভালই হয়েছে। ওদের মধ্যে রমণের পসারই সব থেকে ভাল অবশ্য রমণের জনসংযোগটা খুবই ভাল। গ্রামে কলে গেলে সে আরও অনেকের সঙ্গে দেখা করে। উপপ্রধানের ওখানে গিয়ে তার স্ত্রীর ব্লাডপ্রেসার দেখে। দু’এক ডোজ হোমিওপ্যাথি ওষুধ দিয়ে তার বাড়িতে পান ভোজনও সেরে আসে।
হাটবারের দিন হটতলায় গুণীর দোকান থেকে চেয়ার-টেবিল-টুল নিয়ে বটগাছের নিচে বসে যায়। আর গুপী দেখে ভিজিট-ওযুধের দাম নিয়ে দরদস্তুর নেই, যে যা দেয় তাতেই খুশি। সপ্তাহের আনাজপত্র জুটিয়ে আনে রোগীদের কাছ থেকে তাও কম নয়। ফলে তার পসারই বেশি এই অঞ্চলে।
এবার হঠাৎ কেমন একটা কালো মেঘ দেখা যায় দৈগাঁয়ের মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভ্যদের আকাশে। রমশ ভাবনায় পড়েছে। এতদিন ফাকা মাঠে খেলেছে এইসব ডাক্তার সাজা মানুষগুলো। কিছু হয়নি, তবু ইঞ্জেকশন দিয়ে, ওষুধ দিয়ে টাকা নিয়েছে। এবার এখানে সত্যিকার এমবিবিএস এক নতুন ডাক্তারের আগমন হয়েছে।
ভট্টাচার্য পাড়ার পরেশ ভট্টাচার্য বেশ নামী-দামী লোক। গ্রামের স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন। সবে রিটায়ার করেছেন। আর পঞ্চায়েতেরও প্রেসিডেন্ট। সেই পরেশ ভট্টাচার্যের বড় ছেলে নরেশ এবার বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে গ্রামে এসেছে। পরেশবাবুর অবস্থাও ভাল। জমি জায়গাপুর, বাগান সবই আছে। তার আয়ও কম নয়। এবার রিটায়ার করে পরেশবাবু প্রমের সম্পত্তি দেখাশোনা করছেন। তার মনে হয় নরেশ গ্রামে থেকে ডাক্তারি করুক। আর সেই সঙ্গে তাঁর এতবড় স্টেটের কাজও দেখাশোনা করুক। তাতে সব দিকই বজায় থাকবে। তার যা টাকা আছে তাও কম নয়। নরেশ রোজগার না করে জনসেবা করলে আরও সুবিধা হবে পরেশবাবুর। জীবনের এতদিনের আশা, এম এল এ হবার জন্য ভোটে দাঁড়াবে। ছেলে বিনা পয়সায় জনসেবা করলে তারও এলাকায় সুনাম বাড়বে। তার এমএল এ হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।
তাই পরেশ ভট্টাচার্য সেদিন তার ছেলেকে বলেন, এই গাঁয়ে এই অঞ্চলে তোর জন্ম। এখানের মানুষ ঠিকমতো চিকিৎসা পায় না। দুই ডাক্তার হয়ে এদের সেবা করবি, এই আমি চাই। দেশের মানুষের সেবা কর।
নরেশও তাই বাবার কথা মতো গ্রামেই রয়েছে। এখানেই চেম্বার করে গাঁয়ের মানুষের চিকিৎসা শুরু করেছে।
এতদিন শহরে থেকেছে নরেশ। দেখেছে সে জীবনযাত্রার মান। সেখানে ডাক্তারের চেম্বারে ভিজিট পঞ্চাশ টাকা। কারও বা একশো টাকা। আর একটু নামডাক হলে রোগীর অভাব হয় না। মাসে অন্তত পনেরো-বিশ হাজার টাকা আসবেই।
কিন্তু গ্রামে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা। চেম্বারে রোগী এলে ভিজিট নেই। যা পাও ওষুধের দামে তুলে নাও। আর বাইরে গ্রামে তেমন কলও হয় না। সপ্তাহে পাঁচ-ছটা বড়জোর। আর সেখানে রোগীর বাড়িতে পঞ্চাশ টাকা দিতে মরাকান্না শুরু করে। তবু পাস করা ডাক্তার, তাই পয়সা বেশি লাগে। ফলে তার চেম্বারেই রোগীদের ভিড় লাগতে শুরু করে। নরেশ অনেক বেলা অবধি রোগী দেখে। কম্পাউন্ডার হরিপদও এখন রোগীদের মোচড় মেরে ডাক্তারবাবুর চেয়ে বেশি রোজগারই করে।
ওদিকে এবার ব্যাপারটা দেখে রমণ ডাক্তার শশী ডাক্তার মায় নবীন কবিরাজও বিপদে পড়ে। রমণ খবর পায় তার বহু রোগীই এখন নিয়মিত নরেশ ডাক্তারের ওখানে যাচ্ছে। গাঁয়ের গরু মল্লিকের মায়ের নানা ব্যাধি। কাল অবধি ও ছিল রমণ ডাক্তারের বাঁধা খদ্দের। তার দাওয়ায় রোগী বসার জায়গা থাকত না। এখন দু’পাচজন যাদের কোনও সাধই নেই- তারাই আসে মাত্র রমণের কাছে।
সেদিন শশী ডাক্তার, সেও অবশ্য বাকুড়ে, আর কবিরাজিও করে। সেই বলে
-রমণ একটা কিছু করো। না হলে ডাক্তারি ছেড়েই দিতে হবে। সব রুগী যাচ্ছে ওই কালকের ছোকরার কাছে। আমরা কি ডাক্তারি জানি না?
রমণ ভাবছে এবার কথাটা। তার চ্যালাকেও হাত করেছে। রমণ গজগজ করে,
-রোগীরাও বেইমান! এতদিনের সম্বন্ধ, তা আর রাখল না। দৌড়ালো ওই চ্যাংড়া ছোড়ার দিকে। -তাই বলছি তোমার দাওয়াই, টোটকা কিছু কারো। না হলে আর বাঁচা যাবে না। এমন সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র উঠে গেল- এই ছোকড়া তো নস্যি হে।।
রমণও ভাবছে কথাটা। এই এলাকার বিভিন্ন গ্রামের দু’চারজন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের খবর সে রাখে। তারই পরিচিত নশীগঞ্জের রাখাল ঘোষের মা। মহিলা নানা ব্যাধিতে ভুগছে। বাঁচার কোনও
আশা নেই।
সেদিন রাখালই আসে রমণের কাছে। বলে সে,-একটা কিছু কারো ডাক্তার। মায়ের রোগ তো সারছে না।
রমণও যেন একটা সুযোগ পায়। সে জানে বুড়ি আর সুস্থ হবে না। দু-একদিনের মধ্যেই সরবে দুনিয়া থেকে। তাই মরণ ওই মৃত্যুটাকে নিয়েই এবার বেসাতি করতে চায়। বলে সে, –রাখালবাবু, আমাদের বিদ্যা তো সামান্য। এতদিন ধরে চেষ্টাও করলাম। তেমন কিছু হল না। ওই যে নতুন নরেশ ডাক্তার এসেছে, উনি খুব নামী ডাক্তার। সাক্ষাৎ ধন্বন্তরী। আপনি বরং ওকেই নিয়ে মাকে দেখান। উনি সারিয়ে তুলতে পারেন।
রাখালও সেই মতো গেছে নরেশের কাছে। দৈগাঁয়ের মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভ্যরা এই অঞ্চলের অনেকেই শোনে রমণ ডাক্তারই বলেছেন রাখাল ওখানে চিকিৎসার জন্য। সকলে এই নতুন ডাক্তারের গুণের কথা জানার জন্য উৎসুক।
ডা. নরেশ ভট্টাচার্যও এসে দেখে রোগীর অবস্থা মোটেই ভাল নয়। তবু ইঞ্জেকশন দিতে হয়। আর ইঞ্জেকশন দেবার ঘন্টাখানেক পরই এতদিনের অসুস্থ সেই মহিলা মারা যায়।
খবরটা এবার বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বলে পরেশের ব্যাটা আর কেমন হবে। ব্যাটা টুকে ডাক্তারি পাস করেছে।
শশী ডাক্তার তো হাটতলায় গুপীর চায়ের দোকানে বাঁশের মাচায় বসে বলে, –ডাক্তার নয়- মানুষ মারা ডাক্তার!
রমণ নীরবে হাসে মাত্র। তার ডাক্তারি এবার শুরু হয়েছে নরেশের উপর। আর দাওয়াই যাতে বৃথা যায় সেই চেষ্টাই করবে রমণ। নরেশকে এক ঘা দিতে পেরেছে। আরও দু’একটা ঘা ঠিকমতো দিতে পারলে নারেশ বিধ্বস্ত হয়ে এখান থেকে পালাবে, আর এই অঞ্চল রমণদের মতো হাতুড়ে মার্কা ডাক্তাদের কাছে মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠবে।
নরেশও ভাবতে পারেনি যে, এই মৃত্যুপথযাত্রী রুগী মারার জন্য খেসারত দিতে হবে তাকে। হাটতলায় জটলায় তাকে নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে, নরেশও অবাক হয়। তার চেম্বারে ইদানীং রোগীও কমে আসছে। গ্রামের মধ্যে আধুনিক বড়লোকরাই তার কাছে আসত। নরেশ একটু ঘাবড়ে গেছে।
নরেশের বাবা পরেশ ভট্টাচার্য এতদিন তার বাড়িতে চিকিৎসার ভার দিয়েছিলেন রমণের উপরই। নিজেও টুকটাক চিকিৎসা করাতেন তার কাছে। তবে নরেশ ডাক্তারি পাস করে এখানে চেম্বার করার পরে আর পরেশবাবু রমণের ওষুধও খান না।
হঠাৎ পরেশবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। নানা জটিল ব্যাধি তাকে আষ্ঠে পিষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। গ্রামের লোকও খবর পেয়ে তাঁকে দেখতে আসে। নরেশও এবার বাবার চিকিৎসা করছে নিজে। দরকার হলে শহরের বন্ধু ডাক্তারদেরও আনছে বাড়িতে। রমণের কাছে সব খবরই যায়। রমণ চুপচাপ শোনে মাত্র।
পরেশবাবুর অসুখ কিন্তু এতটুকু কমেনি। বরং বেড়েই চলেছে। গ্রামের লোকজনও ভিড় করে। রমণও আসে। বলে সে, –আরে, নরেশ বাবাজির মতো ডাক্তার বাবার চিকিৎসা করছে ভয় নেই, পরেশদা ভাল হয়ে উঠবেন। ভেবো না—-
কিন্তু পরেশবাবু আর ভাল হন না। দিন কয়েক পর পরেশবাবু মারা যান। গ্রামের লোকও এসে পড়ে। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানও করল নরেশ বাবার কাজকর্ম চুকে যাবার পর চেম্বারে বসে। আর আবিষ্কার করে রোগীরা যেন কপূরের মতো উবে গেছে। হাটতলায় শোনে নরেশ, লোকজন আলোচনা করছে তাকে নিয়েই। ওরা বলে,
-সত্যি গোবদ্যি হয়ে-রোগীকে না মেরে ও ছাড়বে।
কে বলে-ডাক্তার নয়-খুনে। কী জানে ডাক্তারির? রমণ ডাক্তারকে দ্যাখো, রোগীকে চাঙ্গা করে তুলবেই। আর ও প্যান্টালুন পরা ডাক্তার কিনা মানুষ মারার কল।
নরেশও বাবার মৃত্যুর পর নিজেকেই অপরাধী মনে করে। নিজের হাতে বাবার চিকিৎসার ভার না
নিলেই ভাল করত। এইসব চরম অপবাদ শুনতে হতো না। তাছাড়া ওরা অনেকেই ওকে বলে বাবার হত্যাকারী।
-অবশ্য এসব প্রচারে রমণ ডাক্তারের জনসংযোগও অনেক বড় ভূমিকা নিয়েছে। এর কিছুদিন পরই নরেশ এখানের পাট চুকিয়ে দিয়ে চলে গেল শহরে। কোনও এক হাসপাতালে চাকরি নিয়ে।
দৈগাঁয়ে আবার শান্তি ফিরে এসেছে। রমণ ডাক্তারই নয়-অন্যসব হাতুড়েরাই আবার আগেকার মতো এখানে চিকিৎসার নামে প্রহসন চালাচ্ছে।
সরকারের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যত ধ্বংস হবে, রমণের মতো কৌশলী হাতুড়েরাই বাড়বাড়ন্ত ততই থাকবে। অবশ্য শশী বলে,
—তাহলে তোমার ওষুধ ধরেছে রমণ! নরেশ ভো কাট্টা!
রমণ বলে—আমার মুষ্টিযোগ কখনও ব্যর্থ হবে না শশীদা।