Read free bangla books online

আমি, নেড়া, গজা, ভজা আর ন্যাদা– এই পাঁচজনে মিলে আমরা বাবা ষণ্ডেশ্বরের মন্দিরে পিকনিক করতে গিয়েছিলুম। স্টেশন থেকে নেমে আরও দুমাইল রাস্তা, কিন্তু জায়গাটি ভারি খাসা। বাবা যণ্ডেশ্বরের একটা পুরনো মন্দির, সামনে…

ছেলেবেলা থেকেই পাঁচুগোপালের দুর্দান্ত বৈজ্ঞানিক কৌতূহল। না হয়ে যায় কোথায়! তিনদিন তিনরাত পাঁচুঠাকুরের দোরগোড়ায় ধরনা দিয়ে তবে পাঁচুগোপালের আবির্ভাব। যখন জন্মেছিল তখন তার হাত-পা ছিল কাঠির মতো সরু সরু–তিন নম্বরী ফুটবলের মতো…

হলধরদা নাক-টাক কুঁচকে আমাকে বলল, কেন পেছনে ঘুরঘুর করে বেড়াচ্ছিস প্যালা! এসব বন্দুক ছোঁড়া তোর কাজ নয়। রীতিমতো বুকের পাটা চাই–গায়ের জোর চাই। ওই পালাজ্বরের পিলে নিয়ে ধাষ্টামো করতে চেষ্টা করিসনি প্যালা–মারা…

ঘণ্টাদা বললে, ভীষণ প্যাঁচে পড়ে গেছি রে, প্যালা। চোখে সর্ষের ফুল দেখছি আমি। কী হল তোমার? সর্ষের চাষ করছ নাকি আজকাল? আমি উৎসাহিত হয়ে বললুম, তোমার অসাধ্য কাজ নেই। তুমি পাটের দালালি…

খিচুড়ি খেতে আমার ভালোই লাগে, কিন্তু খিচুড়ি জাতের জিনিস একদম পছন্দ করি না আমি। যেমন, আলুবখরা। সেটা আলুও নয়-দাম না দিয়ে বখরাও তাতে পাওয়া যায় না। ওদিকে রাঁধতে গেলে বিস্তর বখেরা–চিনি চাই,…

ডেসিম্যালের পরে আবার একটা ভেঙ্কুলাম, তার সঙ্গে ভগ্নাংশ। এমন জটিল জিনিসকে সরল করা অন্তত আমার কাজ নয়। পটলডাঙায় থাকি আর পটোল দিয়ে শিঙি মাছের ঝোল খাই—এসব গোলমালের মধ্যে পা বাড়িয়ে আমার কী…

পান্নালাল আমার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বললে, বুঝলি প্যালা, দারুণ পাখি জোগাড় করেছি একখানা; যাকে বলে-রামপাখি। রামপাখি? শুনেই আমার রোমাঞ্চ হল। তা ছাড়া কী। এখনও কারও কাছে ফাঁস করিনি–পরে তাক…

তোমরা কখনও অন্যমনস্ক চোর দেখেছ? আমি একবার দেখেছিলুম। সেই কথাই বলি। আমাদের কলকাতার বাসায় তখন কেউ নেই। গরমের ছুটি হওয়াতে সবাই দার্জিলিং বেড়াতে চলে গেছে। একশো আট ডিগ্রির জ্বালায় আমি একা বসে…

সেই কানে জড়ুলওলা লাল-টাই-পরা ভদ্রলোক বর্ধমান স্টেশনে চা খেতে নেমে যেতেই, ওপরের বাঙ্ক থেকে টুপ করে লাফিয়ে পড়লেন আর-এক ভদ্রলোক–যাঁর চুলগুলো খাড়া খাড়া, নাকের নীচে মাছিমার্কা গোঁফ আর হাওড়া থেকে যিনি সটান…

যখন ব্যাপারটা ঘটেছিল, তখন একথাগুলো আমি কাউকে বলতে পারিনি; বলিনি এই জন্যে যে, প্রথমত কেউ বিশ্বাস করবে না; দ্বিতীয় কারণ, সেদিনের সেই আশ্চর্য মোহ–সেই অদ্ভুত নেশা, তার অনুভূতিকে বলবার মতো ভাষা আমার…