Wednesday, April 24, 2024
Homeবাণী-কথাজার্মান ঘড়ি (নক্ষত্রের রাত-১) - হুমায়ূন আহমেদ

জার্মান ঘড়ি (নক্ষত্রের রাত-১) – হুমায়ূন আহমেদ

নক্ষত্রের রাত - হুমায়ূন আহমেদ

দেয়ালে অদ্ভুত আকৃতির একটি জার্মান ঘড়ি। অন্ধকারে এর ডায়াল থেকে সবুজ আলো বের হয়। হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেয়ালের দিকে তাকালে মনে হয় ট্রাফিক সিগন্যাল। খাটটাকে মনে হয় একটা গাড়ি। সবুজ আলো পেয়ে চলতে শুরু করবে।

আজও সে রকম হল। পাশার কয়েক সেকেণ্ড সময় লাগল নিজেকে ধাতস্থ করতে। ভূতুড়ে ঘড়িটা সরিয়ে ফেলা দরকার–এই রকম ভাবতে ভাবতে সে দ্বিতীয় বার তাকাল।

দুটো দশ বাজে।

এত রাতে হঠাৎ করে ঘুম ভাঙল কেন? ঘুম ভাঙার কোনোই কারণ নেই। সে কোনো দুঃস্বপ্ন দেখে নি। কোথাও কোনো শব্দ হচ্ছে না। রান্নাঘর থেকে গ্যাস লিক করছে না। হিটিং ঠিকমত কাজ করছে। ঘরের ভেতর আরামদায়ক উষ্ণতা। ঘুম ভাঙার কোনোই কারণ নেই। কিন্তু এই পৃথিবীতে কার্যকারণ ছাড়া কিছুই হয় না। নিউটনের ক্ল্যাসিকাল মেকানিক্স তাই বলে। কাজেই কারণ কিছু একটা নিশ্চয়ই আছে। থাকতেই হবে।

পাশাবিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল। বাথরুমে ঢুকে চোখে-মুখে পানি ছিটাল। ফ্ৰীজ থেকে ঠাণ্ডা পানির বোতল বের করল। সে এখন একটি সিগারেট ধবে এবং বরফ-শীতল এক গ্রাস পানি খাবে। হঠাৎ ঘুম ভাঙলে এই তার রুটিন।

পানিতে ওষুধ-ওষুধ গন্ধ। এরা কি ইদানীং বেশি করে ক্লোরিন দিচ্ছে? নাকি তার স্নায়ু নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করেছে?

যাদের স্নায়ু নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে, তাদের এরকম হয়। সব কিছুতেই অদ্ভুত কোন গন্ধ পায়। শুরুর দিকে ফরিদের এ রকম হত। যা-ই মুখে দিত থু করে ফেলে দিয়ে বলত-লাশের গন্ধ আসছে। সবাই ভাবত, বোধহয় ঠাট্টা করছে। পাশা এক দিন দামী সেন্টের বোতল খুলে বলেছে, দেখ তো এর মধ্যে কোন অদ্ভুত গন্ধ পাস কি? ফরিদ বাধ্য ছেলের মতো গন্ধ শুকে ঠাণ্ডা গলায় বলেছে, পচা বট পাতার গন্ধ। খুব হালকা–তবে আছে।

পাশা বিরক্ত হয়ে বলল, তুই যা শুকছিল, তার নাম ইভিনিং ইন প্যারিস। ছাগলের মতো কথা বলছিস কেন? ফরিদ খুবই অবাক-হওয়া চোখে তাকিয়ে রইল।

কার্যকারণ ছাড়া কিছুই হয় না। কিন্তু ফরিদের সমস্ত ইন্দ্রিয় কোনো রকম কার্যকারণ ছাড়াই অত্যন্ত তীক্ষ্ণ হয়ে গিয়েছিল। ক্ল্যাসিক্যাল মেকানিক্স সম্ভবত জড় পদার্থের জন্যে, মানুষের জন্যে নয়। মানুষের চেতনা বলে একটি ধরা-ছোঁয়ার বাইরের ব্যাপার আছে।

ওষুধের গন্ধভরা পানির গ্লাস শেষ হয়েছে। এখন শুয়ে পড়া যায়। পাশা ইচ্ছা করে একটা হাই তুলল–ঘুমকে আমন্ত্রণ জানাল। ঠিক তখন টেলিফোন বাজতে লাগল।

নিশিরাতে টেলিফোন কি অন্য রকম করে বাজে? ক্লান্ত সুর বের হয়? নাকি মনের ভুল? পাশা টেলিফোন তুলল। ও পাশে একটি আমেরিকান মেয়ে।

হ্যালো, আমি কার সঙ্গে কথা বলছি?

কার সঙ্গে কথা বলতে চাও তুমি?

পাশা।

কথা বলছি।

মেয়েটির গলায় সাউথের আঞ্চলিক টান আছে। এই দুর্বলতা নিয়েও সে ব্রিটিশ একসেন্ট আনবার প্রাণপণ চেষ্টা করছে। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক আসছে না।

মিঃ পাশা, আপনি কি বাংলাদেশী?

হ্যাঁ।

আপনি একজন মহিলার সঙ্গে কথা বলুন। মহিলা আপনার দেশীয়। মনে হচ্ছে তিনি বেশ ঝামেলায় পড়েছেন।

তুমি কোত্থেকে কথা বলছ?

হেক্টর এয়ারপোর্ট। ঐ মহিলা ঘন্টাখানেক আগে এয়ারপোর্টে এসে পৌছেছে। তাকে যাদের রিসিত করার কথা, তারা কেউ আসে নি। মেয়েটি খুব নাভাস হয়ে গেছে। খুব ছটফট করছে।

একটা ট্যাক্সি করে হোটলে পাঠিয়ে দাও।

আমি বলেছিলাম। মহিলাটি রাজি হচ্ছে না। কিছুক্ষণ আগেই দেখলাম কাঁদছে।

মেয়েটিকে দাও। কথা বলছি ওর সঙ্গে।

ও টয়লেটে গেছে। তোমাকে কিছুক্ষণ হোন্ড করতে হবে। পাশা টেলিফোন কানে নিয়েই সিগারেট ধরাল। তীক্ষ্ণ গলায় বলল, তুমি আমার টেলিফোন নাম্বার পেলে কোথায়?

আমেরিকান মেয়েটি আত্মতৃপ্তির হাসি হাসল। যেন এই প্রশ্নটির জন্যেই সে অপেক্ষা করছিল।

খুব কায়দা করে বের করেছি। টেলিফোন ডাইরেক্টরি বের করে মেয়েটিকে বলেছি-এখানে নিশ্চয়ই তোমাদের দেশের কেউ-না-কেউ বাস করে। তুমি নামগুলি পড় এবং অনুমান করতে চেষ্টা কর কোন কোন নাম তোমাদের দেশের হতে পারে।

সে শুধু আমার নামই বের করল?

সে অনেকগুলিই বের করেছে। তোমারটাই প্রথম ট্রাই করতে বলল। কারণ তোমার লাস্ট নেম নাকি শুধু তোমাদের দেশের ছেলেদের হয়। কাউড্রি। অদ্ভুত লাস্ট নোম।

কাউড্রি নয়। চৌধুরী। তোমার নাম কী?

এ্যান। আমি এখানেই কাজ করি। আমার ডিউটি অনেক আগেই শেষ হয়েছে। চলে যেতাম। মেয়েটির জন্যে যেতে পারছি না।

তোমাকে ধন্যবাদ। এখন তুমি চলে যেতে পারবে, আমি যা করণীয় করব।

থ্যাংস।

মেয়েটি কাঁদছিল বললে। ওর বয়স কত? খুব কম বয়স কি?

বুঝতে পারছি না। এশিয়ান মেয়েদের বয়স কেউ বুঝতে পারে না। ও এসে গেছে, তুমি কথা বল।

পাশা একটি কিশোরীর গলা শুনল। থেমে-থেমে ভয়ে-ভয়ে বলা–হ্যালো, হ্যালো।

আপনার ব্যাপারটা কী? কী হয়েছে?

আপনি দয়া করে একটু আসুন।

আসছি। সমস্যাটি কী? কোত্থেকে আসছেন আপনি?

ঢাকা থেকে।

সরাসরি তো ঢাকা থেকে আসেন নি। পোর্ট অব এন্ট্রি কোথায়? নিউ ইয়র্ক না। সিয়াটল?

নিউ ইয়র্ক। কেনেডি এয়ারপোর্ট। আপনি দয়া করে আসুন।

আপনার সঙ্গে কি শীতের কাপড় আছে? প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বাইরে।

গরম সোয়েটার আছে। মাফলার আছে। একটা ওভারকোট ছিল।

ছিল মানে? এখন নেই?

স্যুটকেসে ছিল। সেই সুটকেস কোথায় আছে জানি না। খোঁজখবর করতে পারি নি। আমার ইংরেজি ওরা বোঝে না, আমিও ওদের কথা বুঝি না।

ওদের কথা না বুঝতে পারার কারণ আছে, কিন্তু আপনার কথা ওরা বুঝবে না কেন? এখানে কী জন্যে এসেছেন?

ইউ-এস এইড প্রোগ্রামে এসেছি। তিন মাসের শট ট্রেনিং, ফুড টেকনলজিতে। এয়ারপোর্টে ওদের লোক থাকার কথা। কেউ নেই।

আপনার নাম কী?

রেবেকা। আমার নাম রেবেকা ইয়াসমিন।

আমি আসছি। ত্ৰিশ থেকে পঁয়ত্রিশ মিনিট লাগবে। নিশ্চিন্ত হয়ে অপেক্ষা করুন। যে-আমেরিকান মেয়েটির সঙ্গে প্রথম কথা বললাম, সে কি আছে না চলে গেছে?

আছে এখনো, কিছু বলবেন?

না।

পাশা টেলিফোন নামিয়ে পারকুলেটর চালু করল। এক কাপ গরম কফি না খেয়ে বের হওয়া যাবে না। ভয়ানক ঠাণ্ডা পড়েছে। চিল ফেক্টর নিয়ে তাপমাত্রা শূন্যের তিন ডিগ্রী নিচে নেমেছে। অথচ নভেম্বর মাস।

গাড়ি চালু হল সহজেই। ইঞ্জিন গরম করতে দিয়ে কফি নিয়ে বসল এবং আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করল, মাঝরাতের এই ঝামেলাটা তার ভালোই লাগছে।

এর কারণ কি ফ্রয়েডিয়ান? একটি ছেলে বিপদে পড়ে মাঝরাতে টেলিফোন করলে পাশা নিশ্চয় বিরক্ত হত। বিরক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন বিরক্তি লাগছে না। ভালোই লাগছে। পাশা লক্ষ করল, সে মেয়েটি সম্পর্কে যথেষ্ট কৌতূহল অনুভব করছে। কল্পনায় যে-ছবিটি ভাসছে, তা হচ্ছে আসমানী রঙের একটা শাডি গায়ে মেয়েটি শুকনো মুখে লাউঞ্জে বসে আছে। তার গায়ে লাল রঙের একটা সোয়েটার। ধবধবে সাদা রঙের মাফলারে কান-মাথা ঢাকা। এই মাফলারটি বিদেশযাত্রা উপলক্ষে তার মা কিংবা বড় বোন কিছুদিন আগেই বুনে শেষ করেছেন।

মেয়েটির বয়স কত হতে পারে? গলার স্বর মিষ্টি। কিশোরীদের মতো কাঁচা। তাতে কিছু বোঝা যায় না। অনেক বৃদ্ধা মহিলারও কিশোরীদের মতো নিরিনে গলা থাকে। মিসেস থমসনের বয়স প্রায় সত্তর। কিন্তু তিনি কথা বলেন বালিকাদের গলায়।

পাশা কাপড় পরতে শুরু করল। বাইরে যাবার জন্য কাপড় পরা একটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। থারমাল আণ্ডারওয়ার। গরম পুলওভারের উপর পার্ক। কানঢাকা টুপি। মেয়েটির জন্যেও গরম কাপড় নিয়ে যেতে হবে। শূন্য ডিগ্রীর নিচের তাপমাত্রা সম্পর্কে এদের কোনো ধারণা নেই। বাইরে বের হলে প্রথম কিছুক্ষণ মনে হবে–এমন কিছু ঠাণ্ডা তো নয়। তার পরই স্নায়ুতে প্রচণ্ড একটা ধাক্কা লাগবে। বুক ব্যথা করতে শুরু করবে।

পাশা গাড়ি স্টার্ট দিয়ে মেয়েটি সম্পর্কে একটি ছবি দাঁড় করাতে চেষ্টা করল। ফরিদের ভাষায় এনালাইটিক্যাল রিজনিং ব্যবহার করে সিদ্ধান্তে যাওয়া।

রেবেকা নামের মেয়েটির বয়স অল্প হবার কোন সম্ভাবনা নেই। ইউএস এইড প্রোগ্রাম-কাজেই সে কৃষি বিভাগে কাজটাজ করে। এসব স্কলারশিপ সিনিয়ারিটি দেখে দেওয়া হয়, কাজেই মেয়েটি যথেষ্ট সিনিয়ার।

মেয়েটি বিবাহিত। কারণ একটি অবিবাহিত মেয়েকে বাবা-মাকিছুতেই একাএকা এত দূর পাঠাবেন না।

সে এক জন বিশালদেহী মহিলা। কারণ তার গলার স্বর মিষ্টি। ভারি মানুষদের গলা সাধারণত মিষ্টি হয়। ভোকাল কর্ডের সঙ্গে শরীরের মেদের একটি সম্পর্ক আছে।

নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে। কারণ শীতের দেশে আসছে বলেই তারা একটি মাফলার বুনে দিয়েছে। এসব জায়গার শীত সম্পর্কে এদের কোনো ধারণা নেই। বাইরে যাবার আগে কিছু একটা বুনে দেওয়া বা সেলাই করে দেওয়ার মত সেন্টিমেন্ট নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারই দেখায়। পাশার এক বার মনে হল, তার এনালাইটিক্যাল রিজনিং-এ একটু খুঁত আছে। সে ধরেই নিয়েছে মাফলারটি হাতে বোনা। এটা নাও হতে পারে। হয়তো এটা কেনা জিনিস।

রেবেকা নামটিও পুরন। স্কুল-মিস্ট্রেসদের নামের মতো। এই নামটি পরিষ্কার বলে দেয়–এই মেয়ে একালের মেয়ে নয়। একালের মেয়েদের নাম হয় ত্ৰপা বা মৌলি।

পাশা ক্যাসেট চালু করল। কোনো শব্দ হল না। ঘাঁসৰ্ঘাস আওয়াজ। হেড পিস নষ্ট হয়ে গেছে, আর নতুন কেনা হয় নি। বেশ ক দিন ধরেই এটা নষ্ট। তবু কেন মনে পড়ল না! এসব কি বয়সের লক্ষণ? আটত্রিশ বছর কি খুব একটা বেশি বয়স? এ দেশের জন্যে নিশ্চয়ই নয়? মানুষের আয়ু বেড়ে গেছে। সুষম খাদ্য, চিকিৎসা, উন্নত জীবনযাত্রা। মানুষের আয়ু সভ্য দেশগুলিতে বাড়তেই থাকবে, এবং এক সময় মানুষ হয়তো অমর হয়ে যাবে। বইপত্রের অমরতা নয়। সত্যিকার অমরত্ব। ইটারনেল লাইফ।

দৈত্যের মত একটা ট্রাক বাতাস কাঁপিয়ে শোঁ-শোঁ করে আসছে। হর্ন দিয়েছে। ওভারটেক করতে চায়। কয়েক মুহুর্তের জন্যে পাশার মনে হল, তার পুরনো মরিস মাইনরটি ট্রাকের গায়ে তুলে দিলে কেমন হয়? চিন্তাটা মুহূর্তের জন্যে হলেও এর জন্ম চেতনার গভীরে।

অমরত্বের পাশাপাশি সব মানুষের মধ্যেই বোধহয় থাকে মৃতের জন্যে আকাঙ্খা। মানুষের মত বিচিত্ৰ প্ৰাণী কি আর আছে এই নক্ষত্রপুঞ্জের?

পাশা সরে গিয়ে ট্রাকটিকে পাস করবার জন্যে অনেকখানি জায়গা করে দিল। ছুটন্ত দানবের গা থেকে বাতাসের ধাক্কা লাগল মরিস মাইনরে। পাশা ছোট একটি নিঃশ্বাস ফেলল। আমাদের কর্মকাণ্ড সমস্তই অমরত্বের জন্যে। সবাই অবিনশ্বর হতে চাই। আমরা আমাদের ছায়া রেখে যেতে চাই ছেলেমেয়েদের মধ্যে। মাইকেলেঞ্জেলদার পাশাপাশি বাংলাদেশের গ্রামের অখ্যাত কারিগরও মাটির তাল হাতে নিয়ে মূর্তি গড়ে। এরা কেউ থাকবে না। মাইকেলেঞ্জেলোর ডেভিড থাকবে। গ্রাম্য ভাস্করের মাটির মূর্তিটিও থাকবে। অমরত্ব। ইটারনেল লাইফ মাই ফুট।

পাশা বিড়বিড় করতে লাগল। সব কিছু তার কাছে কেমন যেন এলোমেলো লাগছে। দু পাশে বিস্তীর্ণ মাঠ। বরফে ঢেকে আছে চারদিক। আকাশ ঝলমল করছে। অসংখ্য তারা আকাশে। নক্ষত্রের আলোয় বরফঢাকা প্রান্তর আলো হয়ে আছে। এই আলো মানুষের মনে শূন্যতাবোধ এনে দেয়। ভয় পাইয়ে দেয়।

পাশার গাড়ির বেগ বাড়তেই থাকল। পুরনো গাড়ি। ঝুমঝুম শব্দ হচ্ছে। হাইওয়ে পেট্রলের কেউ এসে এক্ষুণি হয়তো আলো ফেলবে তার সাইড মিররে। গাড়ি থেকে নামিয়ে বুঝতে চেষ্টা করবে–এই লোকটি মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছে কি-না। তারপর ঠাণ্ডা গলায় বলবে, তুমি কত মাইল বেগে গাড়ি চালাচ্ছ, তা কি জান?

জানি।

কেন চালাচ্ছ?

সে হেসে বলবে, নক্ষত্রের রাতে সব কেমন এলোমললা হয়ে যায় অফিসার।

অফিসার তাকাবে তীক্ষ চোখে। আমেরিকানরা হেঁয়ালি ধরনের কথাবার্তা পছন্দ করে না।

Anuprerona
Anupreronahttps://www.anuperona.com
Read your favourite literature free forever on our blogging platform.
RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments