বনের পাশে থাকা একটি বাড়ি আর সেই বাড়িতে বাবা ছেলে দু’জন বসবাস করত। তাদের অনেক গুলো ভেড়া ছিল। আর সে ভেড়া গুলো তার বাবা বনের পাশে মাঠে চড়াতে নিয়ে যেত। মাঝে মাঝে বাবার সাথে ছেলেটি কে নিয়ে ভেড়া চড়াতে যেত।
ছেলেটি ভেড়া চড়ানোর উপযুক্ত হয়েছিল। একদিন তার বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ল। বাবা তার ছেলেকে বলল, ভেড়া গুলো ঘাস খাওয়ানোর জন্য মাঠে নিয়ে যেতে। ছেলেটি খুবই চঞ্চল ও দুরন্তপনা আর সব সময় খেলাধুলা করতে ভালোবাসতো। যথন তার বাবা বলল, ভেড়া গুলো মাঠে চড়াতে তখন তার মন খারাপ হয়ে গেল।
সে দৌড়াতে ও খেলতে চাইত এবং ভেড়া গুলো পাহারা দিতে নিজের কাছে বিরক্তবোধ মনে করত। সে হঠাৎ ভাবতে লাগলো কি মজা করা যায়? মজা করার জন্য একটি সিদ্ধান্ত নিল। বনের পাশে গ্রাম গুলো থাকা লোক গুলোকে একদিন ছেলেটি চিৎকার করে বলতে লাগলো নেকড়ে! নেকড়ে!
যতক্ষন না পর্যন্ত পুরো গ্রামের লোক নেকড়ে তাড়ানোর জন্য না আসত ততক্ষন পর্যন্ত বললে চিৎকার করত। যাতে নেকড়ে ভেড়া গুলোকে আক্রমণ না করতে পারে গ্রামবাসীরা লাঠি-চড়া, পাথর ও ইট হাতে নিয়ে দৌড়ে আসত।
তখন গ্রামবাসীরা এসে কোন নেকড়ে দেখতে পেত না। ছেলেটি তাদের যথেষ্ট পরিমাণ সময় নষ্ট করেছে এবং গ্রামবাসীরা মনের মধ্যে বিড়বিড় করে কিছু বলতে লাগলো, অতঃপর ঐ স্থান থেকে চলে গেল। না দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীরা চলে যেত।
ঠিক কয়েকদিন পর ছেলেটি চিৎকার করে বলতে লাগলো নেকড়ে! নেকড়ে! আর গ্রামবাসীরা আবারো নেকড়েকে তাড়ানোর জন্য দৌড়ে এল। গ্রামবাসীরা বুঝতে পারল তাদের সাথে ছেলেটি মাজ করছে।
ছেলেটি তাদের ভয় দেখিয়ে যখন হেসে উঠলো গ্রামবাসীরা কেউ কেউ কিছু বলতে লাগালো আবার কেউ কেউ রেগে চলে গেল। আবার কয়েকদিন পর এবার সত্যি সত্যি হঠাৎ একটি নেকড়েকে দেখতে পেল, নেকড়েটি ভেড়া গুলোর উপর আক্রমণ করল।
ছেলেটি অনেক জোরে জোরে চিৎকার করে বলতে লাগলো নেকড়ে! নেকড়ে! এসেছে। কিন্তু গ্রামবাসীরা ভাবল যে, সে আবার আমাদের সাথে মজা করতেছে বা বোকা বানানোর চেষ্ট করছে। নেকড়েকে তাড়ানোর জন্য কেউ আর এল না।
ছোট ছেলেটি সেদিন তিনটি ভেড়া হারালো কারণ সে আগে মিথ্যা বলে নেকড়ে এসেছিল চিৎকার করে ডেকে মজা করেছিল।